ড্রেন ও রাস্তা কাটা বন্ধের নির্দেশ,পুজোয় রাস্তা মেরামত, প্রতি ওয়ার্ডকে ১৫ লক্ষ টাকা: মেয়র!!
২২৮ কৃতীকে একাডেমিক এক্সিলেন্স,৪৫ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ ঘাটতি কমাবে স্বাস্থ্যেঃ মুখ্যমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রজ্ঞাভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার ৪৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা এবং মহকুমা হাসপাতালগুলিতে এখন থেকে কিছুটা হলেও ঘাটতি কমবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক স্বল্পতার দরুন প্রতিটি জেলা কিংবা মহকুমা হাসপাতালগুলিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেওয়া যাচ্ছিলো না এতোদিন। এক্ষেত্রে ৪৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগের ফলে নি:সন্দেহে সেই ঘাটতির কিছুটা হলেও পূরণ করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে ভাষণ রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা বলেন,সরকার টিপিএসসির মাধ্যমে ১৭০ জনেরও বেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে মাত্র ৪৫ জনকেই নিয়োগপত্র দিতে সক্ষম হয়। যে কারণে সংকট মোচনে ভবিষ্যতে রাজ্য সরকার আরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগের জন্য উদ্যোগ নেবে। তিনি বলেন, রাজ্যে খুব সহসাই সুপার-স্পেশালিটি এবং মাস্টার অফ ডেন্টাল সার্জারি (এমডিএস) কোর্স শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পরিকাঠামো উন্নয়নেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ তার গ্রেডের ভিত্তিতে কোনও ডাক্তারকে তুলনা করতে পারেন না। কারণ একজন ডাক্তারকে প্রথমে নিট উত্তীর্ণ হতে হয়। এছাড়াও এমবিবিএস কোর্সে পড়াশোনা করে চার বছর পর কমপক্ষে ৫০% নম্বর নিয়ে পাস করতে হয় তাকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের হাতে অফার বন্টন করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন নবনিযুক্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা প্রত্যেকেই রাজ্যবাসীর সেবায় আত্মনিয়োগ করবেন। স্বাস্থ্য সচিব কিরণ গিত্যে সহ দপ্তরের অন্যান্য পদস্থ আধিকারিক, এনএইচএম মিশন ডিরেক্টর সাজুবাহিদ এ-ও উপস্থিত ছিলেন। এদিকে আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন থেকে পৃথক এক অনুষ্ঠানে এদিন মোট ২২৮ জন কৃতীকে চিফ মিনিস্টার্স অ্যানুয়েল স্টেট অ্যাওয়ার্ড ফর একাডেমিক এক্সিলেন্স প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বছর বিভিন্ন সরকারী, সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যাজ্যোতি বিদ্যালয়ের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার সর্বোচ্চ নম্বর আদায়কারী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এই চিফ মিনিস্টার্স অ্যানুয়েল স্টেট অ্যাওয়ার্ড ফর একাডেমিক এক্সিলেন্স প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা পুরস্কার প্রতীকী স্বরূপ মোট পাঁচজন ছাত্রছাত্রীর হাতে ট্যাব তুলে দেন। এরপরই – বক্তব্য রাখতে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, লক্ষ্য পূরণের জন্য স্বপ্ন দেখতে হয়। পুরস্কার প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদেরকে উৎসাহিত করা। তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র পুঁথিগত শিক্ষার উপর নির্ভর করলে চলবে না। অনুষ্ঠানে শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন সি শর্মা, বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, এসসিইআরটির অধিকর্তা এল ডার্লং সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।