October 22, 2025

২০ শতাংশ হারে,বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলছে, শুনানি ২৯ অক্টোবর।।

 ২০ শতাংশ হারে,বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলছে, শুনানি ২৯ অক্টোবর।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে আবারও বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দুই বছরের মাথায় ফের বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। প্রাপ্ত খবর অনুসারে এর জন্য শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি রয়ে গেছে। ২৯ অক্টোবর এ নিয়ে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। জানা গেছে, শুনানির সময় প্রায় কেউই মাশুল বৃদ্ধি নিয়ে আপত্তি করে না। কাগজে পত্রে মাশুল বৃদ্ধির বিরুদ্ধে দাবি এবং আপত্তি জানানোর সুযোগ রয়েছে। তবে একমাত্র ত্রিপুরা ইলেক্ট্রিসিটি কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন ছাড়া আর কোনো সংগঠন অথবা ব্যক্তি এ নিয়ে উচ্চবাচ্য করে না। শুনানিতে অংশ নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা অংশ নিলেও তারা শুধু নিজেদের সুবিধা সুরক্ষিত রাখতে তৎপর হয়।ফলে প্রায় রাজ্যে প্রায় সব সময় সহসা বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করা যায়। এ নিয়ে ত্রিপুরা বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কমিশন প্রায় একতরফাভাবে কাজ করতে পারে। ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের কথাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে পারে। কারণ মাশুল বৃদ্ধি নিয়ে নিগমের বক্তব্যের বিরুদ্ধে তেমন কোনো জোড়ালোভাবে দাবি এবং আপত্তি জানানোর নজির রাজ্যে প্রায় নেই। ফলে মাশুল বৃদ্ধি হয় কার্যত একতরফাভাবে এবারও তার অন্যথা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানা যায়। প্রাপ্ত খবর অনুসারে মাশুল বৃদ্ধি হতে পারে প্রায় কুড়ি শতাংশ হারে। সম্প্রতি বিদ্যুৎ নিগমের তরফে মাশুল বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কমিশনে। এর ভিত্তিতে ত্রিপুরা বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কমিশন মাশুল বৃদ্ধি নিয়ে ৯ অক্টোবর এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় এ নিয়ে দাবি এবং আপত্তি জানানো যাবে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত। অভিযোগ, এই সময়টা মাশুল বৃদ্ধির বিরুদ্ধে দাবি এবং আপত্তি জানানোর জন্য অত্যন্ত কম। অল্প সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে যথাযথভাবে দাবি এবং আপত্তি জানানো সম্ভব নয় বলে জানানো হয় কমিশনকে।
সে যাই হোক, রাজ্যে বর্তমানে সাধারণ গৃহস্থদের গড়ে প্রায় আট টাকা প্রতি ইউনিট পিছু মাশুল গুণতে হয়। স্থায়ী খরচ তথা ফিক্সড চার্জ, মিটার চার্জ গ্রাহকদের উপর চাপানো ইত্যাদি নির্ধারিত ও নিয়মিত খরচের উপর মাশুলের হিসাব ধরলে বর্তমানে গড়ে কমপক্ষে প্রায় আট টাকা করে বিদ্যুৎ মাশুল দিতে হয় ভোক্তাদের। তার সঙ্গে কুড়ি শতাংশ বাড়তি মাশুল যুক্ত হলে ভোক্তাদের ন্যূনতম প্রায় দশ টাকা করে মাশুল গুণতে হবে।রাজ্যে ২০২৩ সালের শেষদিকে সর্বশেষ বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রায় দুই বছরের মাথায় ফের বৃদ্ধি পেতে চলেছে। এর জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি ও প্রক্রিয়া শেষের পথে। মাঝখানে ফুয়েল চার্জ সহ নানা নামে ঘোরপথে মাশুল বৃদ্ধি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *