ছাত্র ভর্তির অনৈতিক দাবিতে উত্তাল কলেজ,শিক্ষকদের দরজা বন্ধ করে বিক্ষোভ, অশ্লীল গালাগাল!!
২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে,বিকশিত দেশ গড়তে কাজ করছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার: সুশান্ত!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে বিকশিত দেশ হিসাবে গড়ে তোলছে নানাবিধ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি সরকার। সমাজের কোনও অংশের মানুষকে বাদ দিয়ে কখনো দেশকে বিকশিত দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। তাই সমাজের পিছিয়ে থাকা জনজাতি গোষ্ঠী সহ সকল পশ্চাৎপদ জাতি গোষ্ঠীকে এগিয়ে নিয়ে আসতে কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে ‘ধরতি আবা জনজাতি গ্রাম উৎকর্ষ অভিযান কর্মসূচি হাতে নিয়ে জনজাতিদের উন্নয়নে কাজ করছে।
সে লক্ষ্যেই নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার সবকা সাথ সবকা বিকাশ মন্ত্রকে সামনে রেখে নিরলস ভাবে সারা দেশে কাজ করছে। ত্রিপুরাতে বিজেপি সরকার সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে রাজ্যকে উন্নয়নের চূড়ায় নিয়ে যাচ্ছে। সোমবার জম্পুইজলা কমিউনিটি হলে সিপাহিজলা জেলাভিত্তিক ‘ধরতি আবা জনজাতি গ্রাম উৎকর্ষ’ উৎসবের উদ্বোধন করে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন খাদ্য, পর্যটন ও পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে সরকারী সুবিধা দেওয়ার প্রচেষ্টায় এই ধরনের অভিযান সংঘটিত করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার দেশকে শ্রেষ্ঠ বানানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। রাজ্য সরকারও এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে নানা পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। অনুষ্ঠানে একমাসব্যাপী সিপাহিজলা জেলায় অনুষ্ঠিত ধরতি আবা জনভাগীদারি অভিযানের সাফল্যের পুস্তিকার উন্মোচন করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে মৎস্য দপ্তরের পক্ষ থেকে দুইজন মৎস্য চাষিকে মাছ ধরার জাল, দুইজনকে মাছ রাখার জন্য আইস বক্স এবং দুইজন মৎস্য চাষিকে এমএসওয়াই প্রকল্পে ছয় হাজার টাকা করে অর্থ রাশির চেক প্রদান করা হয়। সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে পাঁচজনকে পোষণ কিট বিতরণ করা হয় এবং দুইজনকে পিএমএমভিওয়াই প্রকল্পের শংসাপত্র দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে ৫৬ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হয় এবং সতেরোজনের আয়ুষ্মান কার্ড রেজিস্ট্রেশন করা হয়। শ্রম দপ্তরের পক্ষ থেকে ই-শ্রম প্রকল্পের জন্য চারটি, নির্মাণ শ্রমিকের জন্য ছয়টি এবং পিএমএসওয়াইএম প্রকল্পের জন্য একটি ফর্ম বিতরণ করা হয়। এছাড়াও মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইনকাম সার্টিফিকেটের জন্য পাঁচটি, এসটি সার্টিফিকেটের জন্য দুইটি এবং পিআরটিসির জন্য দুটি আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়। সিপাহিজলা জেলাভিত্তিক এই অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মানব দেববর্মা, বিধায়ক বিশ্বজিৎ কলই, সিপাহিজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, সহকারী সভাপতি পিন্টু আইচ,সিপাহিজলা জেলার জেলাশাসক সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল, জম্পুইজলা ব্লকের বিএসি চেয়ারম্যান বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, জম্পুইজলার মহকুমা শাসক চিরঞ্জীব আনন প্রমুখ। অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিভিন্ন দপ্তরের এগারোটি প্রদর্শনী স্টল খোলা হয়।