August 1, 2025

১ এপ্রিল থেকে ৮০০ ওষুধের দাম বাড়ছে!!

 ১ এপ্রিল থেকে ৮০০ ওষুধের দাম বাড়ছে!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-নিত্যদিনের অত্যাবশকীয় খাদ্য ও পণ্য সামগ্রীর মতোই ওষুধের উপর মানুষের নির্ভরশীলতা ক্রমান্বয়ে যখন বাড়ছে। দুষণ আর রোগের প্রকোপে মানুষ যখন আরও বেশি ওষুধ নির্ভর হয়ে পড়েছেন। ঠিক তখনই আগামী ১লা এপ্রিল থেকে দেশে অন্তত ৮০০ টি ওষুধের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কয়েকটি অতি প্রয়োজনীয় ব্যথানাশক, অ্যান্টি বায়োটিক, অ্যান্টি-ইনফেকটি, ভিটামিন, মিনারেল এবং হার্ট ও কোভিড রোগের ওষুধ সহ একসাথে প্রায় ৮০০ টি ওষুধের দাম বৃদ্ধি হতে চলেছে নতুন মাস থেকে। ২০২২ সালে দেশে ওষুধ শিল্পে প্রায় ১০ শতাংশ করে মূল্যবৃদ্ধি ঘটানো হয়েছিল। ২০২৩ সালে ওষুধের মূল্য ফের একবার বাড়ানো হয়েছে ১২ শতাংশ করে। এবার নিয়ে টানা তৃতীয় বছর ওষুধের মূল্য আরেক দফা বেড়ে গেলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ী মানুষের আর্থিক বোঝা চরম আকার নেবে। ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি প্রতি বছরই ওষুধের পাইকারি মূল্যসূচক ঠিক করে থাকে। ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে মুদ্রাস্ফীতি অন্যতম কারণ বলে দাবি করে এসেছে কেন্দ্র। এনপিপি এ অবশ্য ঘোষণা করেছে যে, পাইকারি মূল্যসূচকের বার্ষিক পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধের জাতীয় তালিকার অধীনে থাকা ওষুধের ক্ষেত্রে মূল্য পরিবর্তনের পরিমাণ দাঁড়াবে ০.০০৫৫ শতাংশ। ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংস্থার দাবি, এই বছর ওষুধের দাম তুলনামূলক কম বৃদ্ধি পাবে। প্রসঙ্গত, চলতি মার্চ মাসেই কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কিছু গুরত্বপূর্ণ ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। এর মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস ওষুধ সহ ৬৯ টি। ওষুধের দামে ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১লা এপ্রিল থেকে যে সব ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে অ্যাটিবায়োটিক, অ্যান্টি ফাঙ্গাল, পেইন কিলার ছাড়াও প্যারাসিটামল, অ্যাজিথ্রোমাইসিন, বেশ কিছু স্টেরয়েড ওষুধ, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সহ মিনারেল ও ভিটামিন বি ওষুধও থাকছে। সম্প্রতি দেশের এক হাজারের বেশি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার পক্ষ থেকে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হয়েছিল যাতে ওষুধের দাম বৃদ্ধি করা হয়। বিগত ২ বছর ধরে জীবনদায়ী বেশ কিছু ওষুধের দাম দুই সংখ্যায় বাড়ানো হয়েছে। এবারও তালিকায় এমন ওষুধপত্রে দাম বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে যা প্রতিনিয়ত রোগীদের কাজে লাগে। ওষুধ শিল্পে যুক্ত বিশেষজ্ঞদের দাবি, গত কয়েক বছরে প্রধান সক্রিয় ওষুধ তৈরির উপাদানের খরচ বেড়েছে। এছাড়া গ্লিসারিন এবং প্রোপিলিন লাইকোল, সিরাপ, ওরাল ড্রপ এবং জীবানুমুক্ত তরল প্রস্তুত করার জন্য ব্যবহৃত দ্রাবকের ব্যয় কয়েকগুন বেড়েছে। তাই মূল্যবৃদ্ধি ছাড়া বিকল্প নেই। কিছু ওষুধের দাম গত কয়েক বছরে যে ঊর্ধ্বগতিতে ছুটে চলেছে তাতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ী মানুষ বড়সড় সঙ্কটে পরবেন তা বলা যায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *