August 1, 2025

১৫৪ আলোকবর্ষ দূর থেকে পৃথিবীতে প্রতি মার্চে রহস্য-সঙ্কেত পাচ্ছেন বিজ্ঞান!!

 ১৫৪ আলোকবর্ষ দূর থেকে পৃথিবীতে প্রতি মার্চে রহস্য-সঙ্কেত পাচ্ছেন বিজ্ঞান!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-পৃথিবী থেকে আনুমানিক ১৫৪ আলোকবর্ষ দূরে রহস্যময় এক গ্রহের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা।১৫৪ আলোকবর্ষ দূর থেকে আসছে হাতছানি!যেন রহস্যময় এক আলোর সঙ্কেত পাঠানো হচ্ছে ওই রহস্যময় গ্রহটি থেকে। দীর্ঘ দিন সেই রহস্যময় সঙ্কেত অনুসরণ করে শেষমেশ গ্রহটির অস্তিত্ব আবিষ্কার করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। আফ্রিকার মরোক্কোর একটি পর্যবেক্ষণকেন্দ্র থেকে বিজ্ঞানী আব্দেরাহমেন সৌবকিওউয়ের নেতৃত্বাধীন একটি দল এই গ্রহটি আবিষ্কার করেছেন। বিজ্ঞানীদের দ্বারা নব্য আবিস্কৃত এই রহস্যময় গ্রহটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘টিওআই-১৮৪৬বি’। এই গ্রহটির আকারের সঙ্গে যদি পৃথিবীর তুলনা করা যায় তাহলে বলতে হবে এই গ্রহটি আকারে পৃথিবীর থেকে প্রায় দ্বিগুণ বড়।
জানা যাচ্ছে, এই গ্রহটির ভর পৃথিবীর চেয়ে প্রায় চার গুণ বেশি। তাই এই বৈশিষ্টের জন্য গ্রহটিকে একটি ‘সুপার আর্থ’ প্ল্যানেটও বলেও আখ্যা দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তারা এই গ্রহটিকে দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ করে জানতে পেরেছেন প্রতি চার দিন অন্তর অন্তর একটি শীতল লাল রঙের বামন নক্ষত্রের চারিদিকে প্রদক্ষিণ করতে দেখা যায় এই গ্রহটিকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট বা ‘টিএএসএস’ এই গ্রহ থেকে পাঠানো আলোর সঙ্কেত সর্বপ্রথম শনাক্ত করতে পেরেছিল।
দীর্ঘ দিনের পর্যবেক্ষণ করে গ্রহটির বিষয়ে বিজ্ঞানীরা উপলব্ধি করতে পেরেছেন, এই রহস্যময় আলোর সঙ্কেতটির নির্দিষ্ট একটি ‘প্যাটার্ন’ রয়েছে। প্রতি বছর কেবলমাত্র মার্চ মাসে গ্রহটি থেকে বিশেষ এই সঙ্কেতটি দেখতে পাওয়া যায়।
সাধারণত, পৃথিবী থেকেবদূরবর্তী কোনও গ্রহের আবিষ্কারের ক্ষেত্রে সেই নক্ষত্রের চারপাশের আলোর তারতম্যের উপর প্রখর নজর রাখতে হয় বিজ্ঞানীদের।এ ক্ষেত্রেও মরক্কোর এই বিজ্ঞনীর দলটি তাই করেছেন। ‘টিওআই-১৮৪৬বি’ নামের নক্ষত্রটির চারপাশে প্রদক্ষিণ করার সময়ে প্রতিবার তার আলো যে কিছুটা আবছা হয়ে যাচ্ছে তা প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষ্য করেন বিজ্ঞানীরা।এই বিশেষ সংকেতকে অবলম্বন করেই গ্রহের উপস্থিতিআন্দাজ করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।ভবিষ্যতে নাসার বিশেষ জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের মাধ্যমে এই গ্রহটিকে পর্যবেক্ষণের ভাবনা রয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার।
জানা যাচ্ছে, ‘টিওআই-১৮৪৬বি’ গ্রহটি যে লাল বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে, তার তাপমাত্রা ৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের থেকেও বেশি। কিন্তু পৃথিবী যে ভাবে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে, এই গ্রহ কিন্তু সেই এক উপায়ে নক্ষত্রটির চারপাশে ঘোরে না। এই গ্রহের এক দিক সবসময়েই নক্ষত্রের দিকে সামনে থাকে। অপর দিকটি সবসময় থাকে অন্ধকার। বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই উল্টো দিকে জলের অস্তিত্ব থাকলেও থাকতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *