১০০ শয্যার ইএসআইসি’র হাসপাতাল নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-কর্মচারী রাজ্য বিমা কর্পোরেশন ইএসআইসি আগরতলার বোধজংনগরে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল শীঘ্রই নির্মাণ করার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা দিল্লীতে হাসপাতাল নির্মাণে দরপত্রও আহ্বান করেছে। বোধজংনগর ইন্ডাস্ট্রিজ কমপ্লেক্সে হাসপাতালের জন্য ৫ একর জায়গাও দিয়েছে রাজ্য সরকারের শ্রম দপ্তর। বর্তমানে রাজ্যে ইএসআইসির অন্তর্ভুক্ত শ্রমিক-কর্মচারী ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য রাজ্যে ৬টি ডিসপেনসারি রয়েছে। আগরতলার শ্যামলী বাজার, বিশ্রামগঞ্জ, উদয়পুর, আমবাসা, ধর্মনগর ও কুমারঘাটে ইএসআইসির ডিসপেনসারি রয়েছে। ইএসআইসি হলো একটি বহুজাতিক সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প।
কোনো বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বা সরকারের অধিগৃহীত সংস্থায় যদি ন্যূনতম ১০ জন বা তার বেশি সংখ্যক শ্রমিক-কর্মচারী চাকরি করেন সেই ক্ষেত্রে ইএসআইসির অন্তর্ভুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক। দোকান, হোটেল, রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল, পরিবহণ, সংবাদমাধ্যম, বেসরকারী মেডিকেল প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা ইত্যাদির ক্ষেত্রে ইএসআইসিতে রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। মাসিক ২১ হাজার টাকা পর্যন্ত যাদের বেতন ও প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে মাসিক ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত যাদের বেতন সেই সমস্ত শ্রমিক কর্মচারীরা আইনে ইএসআইসি অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।দিন দিন ইএসআইসিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। রাজ্য শ্রম দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ সালে ইএসআইসির অন্তর্ভুক্ত সদস্যের সংখ্যা ছিলো ২৬,৬৭০ জন। ২০২৪-২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭,৪৮১ জন। ২০২৫-২৬ বর্ষে গত জুন মাস পর্যন্ত ৬,৬৯০ জন ইএসআইসিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ইএসআইসির অন্তর্ভুক্ত শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন থেকে প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট টাকা কেটে নেওয়া হয় এই বিমা প্রকল্পের পরিষেবা লাভে। পরিবারের সদস্যরাও প্রকল্পের সুবিধা পান। ডিসপেনসারি থেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও রেফার করা হয় বলে জানানো হয়েছে রাজ্য শ্রম দপ্তর থেকে।সব জায়গায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা মিলছে।তাছাড়া ডিসপেনসারিতে চিকিৎসক দেখিয়ে বিনামূল্যে রোগ পরীক্ষাও করা হয়। ওষুধ নেওয়ার সুবিধার্থে নির্দিষ্ট কিছু বেসরকারী ওষুধের দোকানের সঙ্গে ইএসআইসির চুক্তি রয়েছে। এইসব ওষুদের দোকান থেকে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে বিনামূল্যে ওষুধ মিলছে। এদিকে রাজ্য শ্রম দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আইন অনুযায়ী ইএসআইসির আওতাধীন যেসব বেসরকারী প্রতিষ্ঠান পড়েছে বা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্য সেই সব বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ইএসআইসিআই-তে তাদের শ্রমিক কর্মচারীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করানোর জন্য। গত ১ জুলাই থেকে বিশেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছে ইএসআইসির আইনে পড়েছেন এমন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলির নিয়োগ কর্তা তথা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের তাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীদের
নাম ইএসআইসিতে অন্তর্ভুক্ত করানোর জন্য। নাম অন্তর্ভুক্ত করার এই বিশেষ সুযোগ চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলে জানানো হয় রাজ্য শ্রম দপ্তর থেকে। এই আইনে পড়া সত্ত্বেও আগে যারা ইএসআইসিতে নাম রেজিস্ট্রেশন বা অন্তর্ভুক্ত করাননি সেইসব বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে এই সময়ের মধ্যে নাম নথিভুক্ত করানো হলে কোনো অতিরিক্ত টাকা বা পেনাল্টি দিতে হবে না বলেও শ্রম দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। এই ক্ষেত্রে নিয়োগ কর্তারা তাদের প্রতিষ্ঠান এবং কর্মচারীদের ডিজিটালভাবে রেজিস্ট্রেশন করাতে পারবেন ইএসআইসি পোর্টাল, শ্রম সুবিধা এবং এমসিএ পোর্টালের মাধ্যমে। শ্রম দপ্তর থেকে আরও জানানো হয়েছে সময়মতো ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নাম রেজিস্ট্রেশন না করানো হলে পরবর্তী সময়ে আইনিভাবে পদক্ষেপ ও পূর্বের বকেয়া নেওয়া হতে পারে।