August 3, 2025

১০০ বছর পর পৌঁছান মাকে লেখা চিঠি

 ১০০ বছর পর পৌঁছান মাকে লেখা চিঠি

‘মা, আমি সব সময় তোমার কথা ভাবি। তোমাকে নিয়ে ভাবনা, তোমার দেওয়া উপদেশগুলো আমার কাছে উজ্জ্বল তারার মতো। সেগুলো মেনে চলি।’ মায়ের কাছে এভাবেই মনের কথাগুলো লিখেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সেনাসদস্য। তা-ও ১০০ বছরের বেশি সময় আগে।
এখন ওই সেনাসদস্যের মা বেঁচে নেই। ইহকালের মায়া ত্যাগ করে চলে গিয়েছেন তাঁর সন্তানরাও। তবে এত দিন পর সেই চিঠি পৌঁছেছে পরিবারের কাছে। ওই সেনাসদস্যের নাম কার্ল হোয়ে। চিঠিটি তিনি লিখেছিলেন ১৯১৯ সালের ১০ মে। মাতৃ দিবসের ঠিক আগেই। তখন তিনি ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহুদুরে, ফ্রান্সে। পরে তিনি দেশে ফিরেছিলেন, বিয়ে করেছিলেন। ১৯২৮ সালে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে কার্ল হোয়ের মৃত্যু হয়। সেই সময় তাঁর বয়স হয় ৩৬ বছর। কার্ল হোয়ের লেখা সেই চিঠি সম্প্রতি অনলাইন কেনাকাটার ওয়েবসাইট ‘ই-বে’তে চোখে পড়ে একদল গবেষকের। তারা সিদ্ধান্ত নেন, ওই চিঠি হোয়ের পরিবারেরকাছে পৌঁছে দেবেন। যথারীতি কাজ শুরু। ‘ই-বে’ থেকে গবেষকেরা চিঠিটি ১৫০ ডলার দিয়ে কিনে নেন। বিভিন্ন সূত্র ধরে খোঁজা শুরু করেন কার্ল হোয়ের পরিবারকে। শেষ পর্যন্ত হোয়ের মেয়ের সন্ধান পান। বাবার মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর। অবশেষে চিঠিটি গত এপ্রিলের শেষের দিকে হাতে পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অরেগনের বেভারটন শহরের বাসিন্দা জ্যান বেলিস-স্কুইরেস।যে জ্যান বেলিস-স্কুইরেসের কথা বলা হচ্ছে, তিনি কার্ল হোয়ের নাতনি। এত দিন পরে দাদুর লেখা চিঠি হাতে পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত তিনি।জানালেন, চিঠিটি তার কাছে একটি সম্পদের মতো। দাদুকে নিজের চোখে ‘না দেখার জন্য দুঃখ প্রকাশ করতেও ভুললেন না। চিঠি পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে পেরে খুশি ওই গবেষণা দলের প্রধান রই ম্যানডেলও। তিনি বলেন, “আমরা চিঠিটি পড়েছিলাম। সেটি খুবই চমৎকার। আমাদের মনে হয়েছিল, সেটি অবশ্যই বাসায়, সঠিক মালিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *