হ্যাপিয়েস্ট আওয়ার বার মালিককে,আবারও শোকজ নোটিশ দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের পাশে হ্যাপিয়েস্ট আওয়ার বারের মালিক পক্ষকে আবারও শোকজ নোটিশ দিতে নির্দেশ দিলো ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এমএস রামাচন্দ্র রাও-এর ডিভিশন বেঞ্চ। পশ্চিম জেলা আবগারি সমাহর্তা (জেলাশাসক) এই নোটিশ দেবেন। কেন হ্যাপিয়েস্ট আওয়ারের বারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না? এর জবাব নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে দিতে হবে মালিক পক্ষকে।এই জবাব দেওয়ার পর আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে জেলা আবগারি সমাহর্তাকে। লএই সময়ের মধ্যে লাইসেন্স অনুযায়ী বার চালিয়ে যেতে পারবে তারা।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিম জেলার আবগারি সমাহর্তা এক নির্দেশে হ্যাপিয়েস্ট আওয়ারের বারের লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছিলেন। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে বারের মালিক পক্ষের হয়ে জীবনানন্দ বণিক ত্রিপুরা হাইকোর্টে মামলা করেন। অভিযোগ ছিলো, ৬ সেপ্টেম্বর বার চালু হওয়ার দিনেই শর্ত লঙন করেছিল বার কর্তৃপক্ষ। বার চালু করার জন্য পশ্চিম জেলার জেলা সমাহর্তা এই বছরের ১১ এপ্রিল অনুমতি দিয়েছিলেন।এক বছরের জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়।অন্যতম শর্ত ছিলো বার সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।উদ্বোধনের দিনে রাত ১১টার পর খোলা ছিলো বার। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যে কারণে পুলিশকে রাতে সামাল দিতে হয়। সংস্কৃতির পীঠস্থানে বার খোলাকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে চরম ক্ষোভ দেখা দেয়। বিরোধীরা রাস্তায় নেমে মিছিল করেন। রাজ্যের সব মহল থেকেই নিন্দার ঝড় উঠতে থাকায় বাধ্য হয়ে প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হয়। পশ্চিম জেলার সুপারিন্টেন্ডেন্ট অব এক্সাইসকে দিয়ে হ্যাপিয়েস্ট আওয়ার বার কর্তৃপক্ষকে ১০ সেপ্টেম্বর নোটিশ দেওয়া হয়। ত্রিপুরা এক্সাইস অ্যাক্টে বারের লাইসেন্স বাতিল কেন করা হবে না এর জবাব চাওয়া হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর শোকজ নোটিশের জবাব দেওয়া হয়। এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিম জেলার সমাহর্তা বারের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়ার নির্দেশ জারি করেন। এই নির্দেশ বাতিল করার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে হ্যাপিয়েস্ট আওয়ারের মালিক। হাইকোর্টের একক বেঞ্চের বিচারপতি ড. টি অমরনাথ গৌড় জেলা সমাহর্তার নির্দেশটি বাতিল করে দেন। রাজ্য সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে। প্রধান বিচারপতি টিএমএস রামাচন্দ্র রাও এবং বিচারপতি সব্যসাচী দত্ত পুরকায়স্থের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। রাজ্য সরকারের পক্ষে অ্যাডভোকেট জেনারেল শক্তিময় চক্রবর্তী এবং অতিরিক্ত জিএ দীপঙ্কর শর্মা সওয়াল করেন। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর হাইকোর্ট একক বেঞ্চের রায় সংশোধন করেন। হাইকোর্ট পশ্চিম জেলার আবগারি সমাহর্তাকে এক সপ্তাহের মধ্যে শোকজ নোটিশ দিতে নির্দেশ দেয়। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।