October 22, 2025

হাজারো স্কুলে শিক্ষক ১ জন!শূন্যপদের পাহাড়, নেই নিয়োগ, মুখ থুবড়ে শিক্ষা!!

 হাজারো স্কুলে শিক্ষক ১ জন!শূন্যপদের পাহাড়, নেই নিয়োগ, মুখ থুবড়ে শিক্ষা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-৩৫২টি সরকারী প্রাথমিক স্কুলে পড়াশোনা লাটে উঠেছে। সরকারী ৩৫২টি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক সংকটে থাকলেও নিয়োগ নেই। প্রাথমিক বিভাগের (প্রথম-পঞ্চাম শ্রেণী) জন্য শূন্যপদ রয়েছে প্রায় ২৮৮৭টি। উচ্চ বুনিয়াদি বিভাগের (ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণী) জন্য শূন্যপদ রয়েছে প্রায় ১৭৮৯টি। সেকেন্ডারি এডুকেশন (নবম-দশম শ্রেণী) শূন্যপদ রয়েছে ৩৫৯৯টি। স্নাতকোত্তর (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণী) শিক্ষক পদে শূন্যপদ হলো ৮০৫টি। অথচ শীত ঘুমে রাজ্য সরকার!
জানা গিয়েছে শিক্ষক সংকটের দৌলতে সম্পূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। শুধু তাই নয় গত সাড়ে সাত বছরে সরকারী স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা পর্যন্ত তলানিতে এসে ঠেকেছে। প্রত্যেক বছর রাজ্যে বাড়ছে বিদ্যালয়ছুট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা।বর্তমান পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে এসে ঠেকেছে অভিভাবকরা সরকারী স্কুলে তাদের সন্তানদের ভর্তি করছেন না। রাজধানী থেকে জেলা মহকুমার এক বেহালদশা। অবাক করার বিষয় হলো সরকারী স্কুলের পঠন পাঠনের পরিকাঠামো উন্নয়ন না করে বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প এবং সিবিএসই পাঠ্যক্রম চালু হয়েছে।অভিযোগ এক তরফাভাবে বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প এবং সিবিএসই পাঠ্যক্রম চালুর দৌলতে স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়ন এক প্রকার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শিক্ষা দপ্তরের ব্যর্থতায় হাজারো স্কুলে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীর জন্যে শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছে একজন। ফলে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের এক সাথে স্কুলের মাঠে কিংবা সভাগৃহে বসিয়ে ক্লাস করাতে বাধ্য হচ্ছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এটাই বাস্তব। শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর বাংলা বিষয় শিক্ষক শূন্যপদ রয়েছে ৮৫টি, ইংরেজি ১০০টি, ককবরক ১৩টি, সংস্কৃত ১৪টি, মিজো- লুসাই ১টি, আরবিক ৪টি, পদার্থবিদ্যা ৮৯টি, রসায়ন ৮০টি, জীববিদ্যা ২৯টি, গণিত ৪৭টি, সমাজবিদ্যা ৩৪টি, মনোবিদ্যা ৪১টি, অর্থনীতি ৫০টি, শিক্ষাতত্ত্ব ১৮টি, ভূগোল ৬১টি, ইতিহাস ৪৮টি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ৪৮টি, দর্শন শাস্ত্র ১০টি, সঙ্গীত ২টি, বাণিজ্য বিভাগে ৩১টি সহ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক পদে ৮০৫টি শূন্যপদ রয়েছে। জানা গিয়েছে প্রধানশিক্ষক পদে উচ্চতর মাধ্যমিক স্কুলে শূন্যপদ রয়েছে ১২৪টি, সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে উচ্চতর মাধ্যমিক স্কুলে শূন্যপদ ৬৬টি। উচ্চবিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে শূন্যপদ ৩০৩টি। স্পেশাল এডুকেটর পদে শূন্যপদ ১১২টি। অতিরিক্ত অধিকর্তা পদে শূন্যপদ রয়েছে ১টি।যুগ্ম অধিকর্তা পদে শূন্যপদ ৮টি, উপঅধিকর্তা পদে শূন্যপদ
৯টি। অ্যাসিস্ট্যান্ড ইঞ্জিনীয়ার পদে শূন্যপদ ৪টি। এলডিসি পদে শূন্যপদ ৩০১টি গ্রুপ ডি পদে শূন্যপদ ৪৭৭টি। অনুদান প্রাপ্ত বেসরকারী স্কুলে শূন্যপদ রয়েছে ৪৩৩টি। এরমধ্যে পিজিটি শিক্ষক পদে শূন্যপদ ১৫২টি, গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক পদে শূন্যপদ ৯৫টি, প্রধান শিক্ষক উচ্চতর মাধ্যমিক স্কুলে শূন্যপদ ৬টি এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে শূন্যপদ ৪টি, প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক পদে শূন্যপদ ২টি, পিআই পদে শূন্যপদ ৪টি, এলডিসি পদে শূন্যপদ ২৮টি, ইউডিসি পদে শূন্যপদ ২০টি, এলএ পদে শূন্যপদ ২টি রয়েছে। রাজ্যে প্রায় সাড়ে তিন বছর নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রেখে এখন শূন্যপদের মাত্র ৩০ শতাংশ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকারের টিআরবিটি। যদিও ২০২২ সালে টেট ২ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বেকারদের এখন পর্যন্ত চাকরি প্রদান করেনি সরকার। রাজ্যের হাজারো বেকার ডিএলএড, বিএড, এমএড ডিগ্রি নিয়ে বসে থাকলেও তাদের নিয়োগ নেই। ফলে তারা রাজপথে বিক্ষোভকরেছেন। অন্যদিকে প্রত্যেক দিন বহু বেকার যুবক-যুবতীরা বয়স উত্তীর্ণ বেকারে পরিণত হচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *