স্মার্ট মিটারের আড়ালে পাঁচশো জনের কর্মচ্যুতি নিশ্চিত নিগমে!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-স্মার্ট মিটার করে কাণ্ডে তুমুল বিতর্ক বাদানুবাদের ফাঁকে বিদ্যুৎ নিগমে কর্মরত পাঁচশো জনের কর্মচ্যুতির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গেছে। স্মার্ট মিটার বসানোর পর তাদের আর প্রয়োজন পড়বে না। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের নতুন কর্মসংস্থানের সমস্যা দেখা দেবে। সূত্রের বক্তব্য অনুসারে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে স্মার্ট মিটার বসানোর পর আচমকা বিদ্যুতের বিল বেশি আসার দায় রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম এড়াতে পারে না। নিগমের যথাযথ নজরদারির অভাবেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
বিদ্যুৎ নিগমের আওতায় রাজ্যে মোট তেইশটি বিভাগ তথা ডিভিশন রয়েছে। উপবিভাগ তথা সাব-ডিভিশন রয়েছে সাতাত্তরটি। এই বিভাগ এবং উপবিভাগের আওতায় বিদ্যুৎ ভোক্তা রয়েছেন প্রায় দশ লাখ পঁচিশ হাজার। এই ভোক্তাদের বাড়িঘর, দোকানপাট, কলকারখানায় বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ যাচাই করার জন্য প্রায় পাঁচশো জন মিটার রিডার নিযুক্ত করা হয়। তারা সরকারী রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের কর্মী নয়। বিদ্যুৎ নিগম ভোক্তাদের বিলের পরিমাণ যাচাই তথা মিটার রিডিংয়ের দায়িত্ব দেয় ঠিকাদার সংস্থাকে। নির্দিষ্ট কমিশনের ভিত্তিতে এই কাজের বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থার তরফে নিয়োগ করা হয় মিটার রিডার হিসাবে প্রায় পাঁচশোজনকে। তাদেরকে আবার ঠিকাদার সংস্থা সংস্থা প্রতি ভোক্তা তথা মিটারপিছু নির্দিষ্ট কমিশন দেওয়ার শর্তে কাজে লাগায়। এই ভাবে একেক জন মিটার রিডার গড়ে মাসে সাত থেকে দশ হাজার টাকার মতো রোজগার করতে পারে। স্মার্ট মিটার বসানো হলে তাদের এই কাজ থাকবে না। বন্ধ হয়ে যাবে তাদের রোজগারের পথ। স্মার্ট মিটারের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মিটার রিডিং-এর কাজ হবে। স্মার্ট মিটারের তথ্য সরবরাহ করার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে এই কাজ করা যাবে। বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ যাচাই করা অথবা মিটার রিডিং নেওয়ার জন্য ভোক্তাদের বাড়ি, দোকান, কারখানা ইত্যাদিতে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময় অন্তর যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। এর ফলে আপাতত স্মাট মিটার কিনতে গিয়ে বিদ্যুৎ নিগমের মোটা অঙ্ক খরচ হলেও আখেরে অর্থ সাশ্রয় হবে। এটাই নিগমের প্রাথমিক লক্ষ্য বলে খবর। সেই সঙ্গে অবশ্য কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভোক্তাদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার চাপও রয়েছে। এই চাপ কাটিয়ে উঠতে স্মার্ট মিটার বিদ্যুৎ নিগমের পক্ষে বড় সহায়। নিগম সূত্রের বক্তব্য অনুসারে বর্তমান ব্যবস্থায় কোথায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু অথবা বন্ধ রয়েছে তা জানার জন্য বিদ্যুৎ নিগমের কাছে কার্যকর কোনও উপায় নেই। একমাত্র ভোক্তাদের মাধ্যমে এই বিষয়ে অবগত হওয়া সম্ভব হয়। নিগমের শীর্ষ কর্তৃপক্ষের পক্ষে সরাসরি জানা সম্ভব হয় না। প্রসঙ্গত, মিটার রিডার নিয়ে ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে করা চুক্তির শর্ত অনুসারে প্রতি তিন মাস অন্তর মিটার রিডার হিসাবে নিযুক্তদের এলাকা বদল করার কথা। এই ভাবে প্রতি তিন মাস অন্তর তাদের এলাকার পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য হলো মিটার রিডারদের সঙ্গে যেন কোনও ভোক্তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠতে না পারে। দুর্নীতি এড়ানোর লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। এই বিষয়টি তদারক করার কথা নিগমের। বাম আমল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত এই বিষয়টি কার্যকর করার কথা ভাবা হয়নি। পুরো বিষয়টি রয়ে গেছে শুধু কাগজেপত্রে। এর পেছনে দায়সারা গোছের মনোভাব সহ নানা কারণ রয়েছে। তাছাড়া লোকবলের মভাব তো আছেই। এই সুযোেগ গ্রহণ সম্ভব হয়। নিগমের শীর্ষ কর্তৃপক্ষের পক্ষে সরাসরি জানা সম্ভব হয় না। প্রসঙ্গত, মিটার রিডার নিয়ে ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে করা চুক্তির শর্ত অনুসারে প্রতি তিন মাস অন্তর মিটার রিডার হিসাবে নিযুক্তদের এলাকা বদল করার কথা। এই ভাবে প্রতি তিন মাস অন্তর তাদের এলাকার পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য হলো মিটার রিডারদের সঙ্গে যেন কোনও ভোক্তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠতে না পারে। দুর্নীতি এড়ানোর লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। এই বিষয়টি তদারক করার কথা নিগমের। বাম আমল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত এই বিষয়টি কার্যকর করার কথা ভাবা হয়নি। পুরো বিষয়টি রয়ে গেছে শুধু কাগজেপত্রে। এর পেছনে দায়সারা গোছের মনোভাব সহ নানা কারণ রয়েছে।তাছাড়া লোকবলের মভাব তো আছেই।এই সুযোগ গ্রহণ করেছে একাংশ অসাধু মিটার রিডার, অসাধু ভোক্তা। এর দায় কিন্তু বাম এবং বর্তমান আমলের বিদ্যুৎ নিগম কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। যে ব্যক্তি বিদ্যুৎ বিল ফাঁকি দেওয়া অথবা চুরি করার মতো ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার দায়ের করা সহ কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করায় হয়েছে সেই সম্পর্কে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও প্রত্যন্ত এলাকায় গ্রামের পর গ্রাম এখনও হুকলাইনেই চলছে। সেখানে মিটার রিডার বা মিটার কোনও কিছুরই খবর রাখার প্রয়োজন মনে করে না নিগম।