August 2, 2025

স্মার্টসিটি প্রকল্পে সমন্বয়হীনতা নগরজীবনে নাভিশ্বাস ছুটিয়েছে!!

 স্মার্টসিটি প্রকল্পে সমন্বয়হীনতা নগরজীবনে নাভিশ্বাস ছুটিয়েছে!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- আগরতলা শহরে স্মার্টসিটি প্রকল্পের রূপায়ণ শহরবাসীর মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রতিদিন দুর্ভোগ সইতে হয় শহুরে মানুষকে। আগরতলার সব অংশে উন্নয়নের খোঁড়াখুঁড়িতে পানীয় জল, বিদ্যুৎ সরবরাহ থেকে শুরু করে নানা ক্ষেত্রে ঘটছে বিঘ্ন।আর এম এস চৌমুহনী সংলগ্ন এলাকায় টানা চার দিন ধরে পানীয় জল সরবরাহ মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। মিলছে না নলবাহিত জল। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভজমলেও মাঝে মধ্যে মৃদু গালমন্দ করা ছাড়া আর কিছু প্রকাশের উপায় থাকছে না। বহু পরিবারের নাওয়া খাওয়া বন্ধ হয়ে পড়ার উপক্রম চারদিনে। আর এম এস চৌমুহনী ও সংলগ্ন এলাকায় এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটেনি। গত কয়েক মাসে বারবার বিপাকে পড়তে হয় এলাকার মানুষকে। প্রতি ক্ষেত্রেই এর জন্য অভিযোগের কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে স্মার্টসিটি প্রকল্পকে। কোনও ধরনের সমন্বয় রক্ষা না করে প্রকল্পের রূপায়ণ করার ফলে একের পর এক যন্ত্রণা সইতে হচ্ছে শহরের বিভিন্ন অংশের মানুষকে। একেকবার একের ধরনের বিপত্তি চলছে। কখনও গ্যাসের পাইপলাইন ফুটো হয় অথবা কেটে যায়। কখনও দেখা দেয় ভূতল বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় জটিলতা। পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থায় বিপত্তি তো আছেই।
এ নিয়ে নিয়মিত সংবাদ দৈনিক সংবাদে পরিবেশনের ফলে মাঝখানে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। স্মার্টসিটি কর্তারা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর, বিভাগ অথবা নিগম ও কোম্পানির সঙ্গে বৈঠকে বসে সমন্বয় বজায় রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। স্মার্টসিটি প্রকল্পের তরফে জানানো হয় প্রয়োজনীয় সমন্বয় রক্ষা করা হবে এখন থেকে। কিছুদিন মোটামুটি ঠিকঠাক চললেও এরপর আবার যে কে সেই অবস্থা। কার্যত কোনও সমন্বয় রক্ষা হচ্ছে না। মর্জিমাফিক কাজ করে চলছে স্মার্টসিটি প্রকল্পের লোকজন। নতুন করে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে আসছে।
দিন চারেক আগে আর এম এস চৌমুহনী এলাকায় নতুন করে স্মার্টসিটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। শুরু হতে না হতেই দেখা দিয়েছে বিপত্তি। এলাকার এক বিশিষ্ট নাগরিক সহ বহু বাড়িতে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ। প্রশাসনের শীর্ষ মহলের চাপে বিশিষ্ট ব্যক্তির বাড়িতে জল চালু করা হয়। বুধবার মাঝ রাতেও কাজ চলে জলের লাইন পুনর্বহাল করতে। রাত দুইটা পর্যন্ত কাজ করে তার বাড়িতে জল পাঠানো হয়। এতে কিন্তু এলাকায় স্বস্তি নেমে আসেনি। কারণ এলাকার জন্য কোনও বাড়িঘরেই জল চালু হয়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংবাদ লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতির পরিবর্তনের খবর পাওয়া যায়নি। কবে এই এলাকায় পুনরায় এবং পুরোদমে জল সরবরাহ সচল হবে সেই আশায় তাকিয়ে আছেন এলাকার মানুষ। পাশাপাশি কবে স্মার্টসিটি প্রকল্পে দুর্ভোগের অবসান হবে তাও জানতে চান শহরবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *