September 3, 2025

স্বাবলম্বনের পথে কাঞ্চনপুরের দীপ দাস!!

 স্বাবলম্বনের পথে কাঞ্চনপুরের দীপ দাস!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-কাঞ্চনপুরের দাসপাড়া গ্রামের তরুণ দীপ দাস নিজের পরিশ্রম ও সরকারী সহায়তাকে কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বনের এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান সৃষ্টিমূলক কর্মসূচি (PMEGP) প্রকল্পের আওতায় লোন নিয়ে তিনি শুরু করেছেন টিস্যু পেপার তৈরির একটি আধুনিক কারখানা।
রবিবার সকালে নবগঠিত এই কারখানাটি পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের কারা ও শিল্প বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী শান্তনা চাকমা। তার সঙ্গে ছিলেন কাঞ্চনপুর মণ্ডল সভাপতি বীরেন্দ্র কর। মন্ত্রী কারখানার প্রতিটি বিভাগ ঘুরে দেখেন এবং দীপ দাসের উদ্যোগকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, যুবসমাজ যদি সরকারী প্রকল্পগুলিকে কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র গড়ে তোলে তবে গ্রামীণ অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। তিনি দীপ দাসের উদ্যোগকে রাজ্যের তরুণদের জন্য অনুকরণীয় হিসেবে উল্লেখ করেন। বীরেন্দ্র করও দীপ দাসের প্রশংসা করে বলেন, কাঞ্চনপুরের তরুণরা এখন নিজেদের হাতেই কর্মসংস্থানের নতুন দিশা তৈরি করছে। স্থানীয় মানুষও এই শিল্পকে ঘিরে উৎসাহ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে গ্রামে এই ধরনের কারখানা কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। ইতিমধ্যেই কয়েকজন যুবক সেখানে কাজ শুরু করেছে। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। দীপ দাস জানিয়েছে সে দীর্ঘদিন ধরে কিছু করার স্বপ্ন দেখছিল। পিএমইজিপি লোন সেই স্বপ্ন পূরণের সুযোগ এনে দিয়েছে। সে জানায় সরকারের সহায়তায় আমি আজ আমার গ্রামে একটি শিল্প গড়ে তুলতে পেরেছি। আগামী দিনে উৎপাদন আরও বাড়িয়ে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র বাড়াতে চাই। মন্ত্রী শান্তনা চাকমা তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে শিল্প দপ্তরের তরফে সবরকম সহায়তা অব্যাহত থাকবে। মন্ত্রী আরও জানান, রাজ্য সরকার সর্বদা চাইছে যুবসমাজ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি করুক। দীপ দাসের এই প্রচেষ্টা অন্যদেরও উদ্বুদ্ধ করবে। কারখানাটি ইতিমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় তরুণরা দীপ দাসের কাছে পরামর্শ নিচ্ছেন নতুন উদ্যোগ শুরু করার জন্য। মানসম্মত পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে বাজারে স্থায়ী জায়গা করে নেওয়াই দীপ দাসের মূল লক্ষ্য। তিনি অন্য তরুণদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। গ্রামের বাসিন্দারা দীপ দাসের উদ্যোগে গর্ব অনুভব ‘করছেন। তাদের মতে, এই পদক্ষেপ দাসপাড়া গ্রামকে রাজ্যের মানচিত্রে আলাদা পরিচিতি দেবে। সব মিলিয়ে দীপ দাসের একাগ্রতা, পরিশ্রম এবং সরকারী সহায়তার সমন্বয়ে দাসপাড়া গ্রামে আত্মনির্ভরতার নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *