দেশি-বিদেশিদের উপচে পড়া ভিড়,আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে জম্পুই!!
স্বরাষ্ট্র দপ্তরের ব্যর্থতা ও অচলাবস্থায়,৪ বছরেও স্পেশাল এজিকিউটিভনিয়োগ করতে পারছে না সরকার!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-স্বরাষ্ট্র দপ্তরের চরম ব্যর্থতা ও প্রশাসনিক অচলাবস্থার কারণে চার বছরেও ৬০৬২ পুলিশের স্পেশাল এজিকিউটিভ পদে নিয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য সরকার, রাজ্যব্যাপী বেকার মহলে এনিয়ে গুঞ্জন ও অভিযোগ। রাজ্যব্যাপী গুঞ্জন চলছে সরকার সম্পূর্ণভাবে আমলানির্ভর হয়ে পড়ায় এবং প্রশাসন চালাতে কার্যত ব্যর্থতার কুফল নানাভাবে ভুগতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। অভিযোগ সরকার এতটাই আমলানির্ভর হয়ে পড়েছে যে মন্ত্রিসভার গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত মাসের পর মাস, বছরের পর বছর কার্যকরী করতে পারছে না সরকার। আমলাদের বাড়বাড়ন্ত এতটাই মাথাচারা দিয়ে উঠেছে যে দুই একজন মন্ত্রীকে ছাড়া সিংহভাগ মন্ত্রীকে আমলারা কার্যত পাত্তাই দিচ্ছে না। রাজ্য প্রশাসনের এ ধরনের অচলাবস্থা ও আমলাতন্ত্রের বাড়বাড়ন্ত ইতিপূর্বে রাজ্যবাসী দেখেনি বলে রাজ্যব্যাপী বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন চলছে। অভিযোগ, আমলাতন্ত্রের বাড়বাড়ন্ত এতটাই যে খোদ মন্ত্রী অফিসের একাধিক অফিসার ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সরকারী গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। মহাকরণে এমনও দু-একজন অফিসার কর্মরত রয়েছেন যারা অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে নিজ বাড়িতে পর্যন্ত ভিভিআইপি বিদ্যুৎ সংযোগ লাগিয়ে নিয়েছেন। মহাকরণে অভিযোগ ও গুঞ্জন চলছে এমনও দুইএকজন অবসরপ্রাপ্ত অফিসার রয়েছেন, তারাও অবৈধভাবে বাড়িতে ভিভিআইপি বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে রাতদিন গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন।আমলাতন্ত্রের বাড়বাড়ন্তে সাধারণ বিডিও, এসডিএম, জেলাশাসক, ডিরেক্টর এমনকি মহাকরণ প্রশাসন থেকে সাধারণ পরিষেবা পর্যন্ত পাচ্ছে না। মাসের পর মাস অফিসারদের টেবিলে ফাইল ঘুরছে। এতে মানুষকে নাজেহাল হতে হচ্ছে। রাজ্যব্যাপী গুঞ্জন চলছে একই কারণে চার বছর ধরে পুলিশের স্পেশাল এগজিকিউটিভ পদে নিয়োগে পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এতে বেকার মহলে সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। জানা গেছে, প্রশাসনের অচলাবস্থা ও আমলাতন্ত্র নিয়ে খোদ শাসকদলের অন্দরেও ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।মহাকরণ সূত্রে জানা গেজে, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রশাসনিক চরম ব্যর্থতায় চার বছর ধরে ৬,০৬২ পদে স্পেশাল এগজিকিউটিভ নিয়োগ বিশবাঁও জলে। জানা গেছে, ২০২২ সালে রাজ্য পুলিশের অধীনে ৬০৬২টি পদে স্পেশাল এগজিকিউটিভ পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এই বিজ্ঞাপন মোতাবেক স্পেশাল এঞ্জিকিউটিভপদে চাকরির জন্য হাজার হাজার বেকার আবেদন জানান।
প্রতিশ্রুতি ছিল ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটের আগেই স্পেশাল এগজিকিউটিভ পদের নিয়োগ হবে। ২০২৩ সালেই বেকারদের চাকরির অফার প্রদান করবে সরকার। কিন্তু ২০২৫ সাল শেষ হতে চললেও চাকরির দেখা পাচ্ছে না বেকাররা। এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।রাজ্য সরকারের এই মন্থর গতির জন্য প্রত্যেক বছর বাড়ছে বয়সউত্তীর্ণ বেকার। প্রশাসনিক অচলাবস্থার জন্য যথাসময়ে কোনো নিয়োগ প্রক্রিয়া সমাপ্ত হচ্ছে না। একই হাল হলো ত্রিপুরা পুলিশের অধীনে স্পেশাল এঞ্জিকিউটিভ পদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায়।বেকারদের দাবি অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া সমাপ্ত করতে হবে। অন্যথায় রাজ্যব্যাপী সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে বেকাররা।