December 13, 2025

স্বপ্নপূরণ ১৫৭ প্রত্যাশীর,রাজ্যে শিক্ষা-স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কোনো আপোশ নয়: মুখ্যমন্ত্রী!!

 স্বপ্নপূরণ ১৫৭ প্রত্যাশীর,রাজ্যে শিক্ষা-স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কোনো আপোশ নয়: মুখ্যমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে কোনো ধরনের আপোশ করা হচ্ছে না।
সোমবার মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর আয়োজিত নিয়োগপত্র বিলির এক অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতার মাধ্যমে সরকারী চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া জারি রেখেছে বর্তমান সরকার। তার কথায়, ডাই-ইন-হারনেস সহ রাজ্যে বর্তমান সরকার এখনও পর্যন্ত ২০ হাজার ১৮১ জনকে বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি প্রদান করেছে।এর মধ্যে শিক্ষা দপ্তরেই নিয়োগ করেছে ৬ হাজার ৯৯৮ জনকে।এছাড়াও ৯১৫ জন পিজিটি, ৫০০ জন জিটি সহ অন্য আরও বিশেষ করে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে স্কুলগুলিকে আরও বেশি করে শক্তিশালী করতেই এই উদ্যোগ- জানান মুখ্যমন্ত্রী।
আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা যাতে গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা পায় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য যাতে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলা যায়। এদিন মোট ১০২ জন ফিজিক্যাল এডুকেশন টিচার এবং ৫৫ জন স্পেশাল এডুকেটরদের মধ্যে নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা প্রতীকী হিসাবে তাদের মধ্য থেকে বেশ কজনের হাতে হলুদ খামে নিয়োগপত্র তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা বলেন, বর্তমান সরকার প্রথম থেকেই স্বচ্ছতার মাধ্যমে সরকারী চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া জারি রেখেছে। যে কারণে বর্তমান সরকারের সময়কালে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়কে নিয়ে একটিও মামলা হয়নি। রাজনৈতিক পরিচয়ের খাতিরে এখন আর চাকরির অফার বিলি করা হয় না। যারা নিয়োগপত্র পেয়েছে তাদের শারীরিক অঙ্গভঙ্গিই বলে দেয় যে তারা এই চাকরির যোগ্য। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যারা নিয়োগপত্র পেয়েছেন তাদের প্রত্যেককেই মনে রাখতে হবে স্কুলের প্রতিটি ক্লাসই আপনাদের জন্য একটি মন্দির। তবেই না অনন্য উদাহরণ সৃষ্টিকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা হওয়া সম্ভব।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশে ইতিমধ্যেই জাতীয় শিক্ষানীতি করেছেন। যার প্রধান উদ্দেশ্য ভারতীয় সংস্কৃতিকে ভিত্তি করে দেশের ঐতিহ্যময় শিক্ষা ব্যবস্থার নবজাগরণ। তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত পাঁচ হাজার জনেরও বেশি কন্ট্রাকচ্যুয়াল এবং আউটসোর্সিং চাকরি দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে নিপুণ ত্রিপুরা, সিএম সাথ, মিশন মুকুল, সহর্ষ, ১২৫টি বিদ্যালয়কে বিদ্যাজ্যোতি ও ৮৪টি বিদ্যালয়কে পিএমশ্রী স্কুলে রূপান্তরিত করা হয়। এছাড়াও এদিন তিনি রাজ্যের বর্তমান উচ্চশিক্ষার প্রসার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’। বিশেষ করে মঞ্চ করে অফার বিলি নিয়ে বিরোধীদের কটুক্তির জবাব হিসাবেই তার এই উক্তি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এনসি শর্মা, বুনিয়াদি শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা রাজীব দত্ত এবং এসসিইআরটির অধিকর্তা এল ডার্লং সহ অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *