September 28, 2025

স্বদেশি ৪জি (৫জি প্রস্তুত) নেটওয়ার্ক উদ্বোধন,মোহনপুরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক মঞ্চে বিপ্লব, রাজীব, রতন!!

 স্বদেশি ৪জি (৫জি প্রস্তুত) নেটওয়ার্ক উদ্বোধন,মোহনপুরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক মঞ্চে বিপ্লব, রাজীব, রতন!!

অনলাইন প্রতিনিধি:-শনিবার ওড়িশা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সারা দেশের বিএসএনএলের ৯৭ হাজার ৫০০টি ৪জি (৫জি প্রস্তুত) স্যাচুরেশন মোবাইল টাওয়ার নেটওয়ার্কের উদ্বোধন করেছেন। সারা দেশের সাথে রাজ্যে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয় মোহনপুরের নয়াগাঁও। রাজ্যে এই স্থানটিকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। মোহনপুর ৪জি স্যাচুরেশন বিটিএস সাইটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব, রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের জনপ্রিয় কৃষি ও বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথ সহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে বড় স্ক্রিনে ওড়িশা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস সরাসরি সম্প্রচার দেখার ব্যবস্থা করা হয়। উপস্থিত নেতৃত্বরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনেন। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, স্বদেশি বিএসএনএলের ৯৭,৫০০টি ৪জি স্যাচুরেশন মোবাইল টাওয়ার গ্রামীণ এলাকায় ডিজিটাল সংযোগকে শক্তিশালী করতে বড় ভূমিকা নেবে। এটি দেশব্যাপী ডিজিটাল অবকাঠামো গঠনে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে তিনি দাবি করেন। মন্ত্রী বলেন, এই কেন্দ্রটি ত্রিপুরা থেকে বাছাই করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে সারা দেশের ৯৭,৫০০টি বিএসএনএল ৪জি স্যাচুরেশন মোবাইল টাওয়ারের জাতীয় পর্যায়ের উদ্বোধনের জন্য। দ্রুত ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে এখন ৪জি নেটওয়ার্ক চালু করা হচ্ছে। পাশাপাশি এর সঙ্গে যুক্ত হবে ৫জি-র সুবিধা। পাহাড়, সমতল, সীমান্তবর্তী এবং নকশাল প্রভাবিত এলাকায় বিএসএনএল ৪জি স্যাচুরেশন মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করা হচ্ছে। বিএসএনএল একমাত্র নেটওয়ার্ক যা সব জায়গায় উপলব্ধ।মন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেটের কারণে আজ আমরা ডাক্তারদের সঙ্গে অনলাইনে কথা বলতে পারি। অনলাইন শিক্ষা নিতে পারি। টেলিমেডিসিন পরিষেবা পাচ্ছি। ই-কমার্স, সোশ্যাল মিডিয়া, ডিজিটাল হেলথ কেয়ার, বায়োটেকনোলজি সহ নানা ক্ষেত্রে ৪জি নেটওয়ার্ক গ্রামীণ মানুষদের জন্য বড় সহায়ক হবে। এখন প্রযুক্তি সবার হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। মানুষ মোবাইলে সিনেমা দেখছে, স্মার্ট হোম ডিভাইস ব্যবহার করছে – গ্রামের মানুষও এই সুবিধা পাচ্ছেন। এই নেটওয়ার্ক গ্রামীণ ও দুর্গম এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইন্টারনেটের কারণে আমাদের জীবনধারাও বদলে গেছে। এর ভালো দিক যেমন আছে, খারাপ দিকও আছে। দেশে ১০০% ৪জি কভারেজ দেওয়া হবে।আমরা চাই, সবাই এই সুবিধা ভোগ করুক।ত্রিপুরার ১১৮টি গ্রামীণ এলাকায় ইতিমধ্যেই ৪জি নেটওয়ার্ক বসানো হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হলো জনজাতি এলাকাকে উন্নত করা, কারণ তা না হলে সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। আজ প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে নারী ও জনজাতি উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেছেন। তাদের উন্নয়ন ছাড়া ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ সম্ভব নয়। আমরা এখন নিজেদের প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। আজকের যুগ তথ্য ও প্রযুক্তির যুগ। সারা দেশে ইতিমধ্যেই ৯৭,৫০০ মে মোবাইল টাওয়ার যুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ত্রিপুরাও রয়েছে। এ কাজে খরচ হয়েছে ৩৭,২৮৪ কোটি টাকা। আমাদের স্বদেশি পণ্যের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। এই ইন্টারনেটের জন্য আমাদের অন্যের উপর নির্ভর করতে – হয় না। এটি আমাদের নিজস্ব এবং স্বদেশি প্রযুক্তি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *