August 3, 2025

সেনার জন্য গর্বিত দেশ: রতন!!

 সেনার জন্য গর্বিত দেশ: রতন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রবিবার পড়ন্ত বিকেলে গোটা মোহনপুর জুড়ে দেশ প্রেমের উত্তাল হাওয়া বইতে শুরু করে। একদিকে সূর্যের তাপ অন্যদিকে মোহনপুরবাসীর মনে ফুটছিল দেশপ্রেম। মোহনপুর পরিষদ থেকে শুরু হয় তিরঙ্গা যাত্রার জনঢল। একদিকে দেশাত্মবোধক গান অন্যদিকে আবাল বৃদ্ধ বনিতা শিশু সবাই উপচে পড়ে দেশপ্রেমের ঢেউয়ে। বারবার ভারতের সেনাবাহিনীর গৌরব গাথার স্লোগানে মোহিত হয়ে ওঠে মোহনপুরের আকাশ বাতাস।

রাজ্যের কৃষি ও বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী তথা মোহনপুরের বিধায়ক রতনলাল নাথের নেতৃত্বে ভারত মাতা কি জয় দেশপ্রেমের স্লোগানে এগিয়ে যায় তিরঙ্গা মিছিল। সন্ত্রাসীদের জবাব দিতে ভারতের সেনাবাহিনীর যে নারীর নাম আজ বিশ্বজুড়ে, তার ছাপ রাখলো গরমের মধ্যেও মিছিলে আসা বিশাল সংখ্যক নারীদের উপস্থিতি। মন্ত্রী তিরঙ্গা হাতে শোভাযাত্রার অগ্রভাগে হাঁটেন। তার সাথে কদম কদম বাড়িয়ে চল এই সুরে গোটা মোহনপুরের পথঘাট কাঁপিয়ে তোলে তিরঙ্গা যাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা। ঝড়ের কাছে দেশ প্রেমের ঠিকানা যেন রেখে গেলো মোহনপুরবাসী।

নতুন জন্মের ডঙ্কা বাজিয়ে দিল সেই দিনের মিছিল। মিছিলে হেঁটে অপারেশন সিন্দুর নিয়ে বলতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ বক্তব্যে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং কমিউনিস্টদের দিকে ক্ষোভের তীর ছুড়তে থাকেন।

তিরঙ্গা যাত্রায় কৃষিমন্ত্রী ভারতের সেনাবাহিনীদের গৌরব গাথা বীরত্বের প্রভূত প্রশংসা করেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।তিনি বলেন,অপারেশন সিন্দুর প্রজেক্ট গোটা বিশ্বকে মোদিজি বুঝিয়ে দিয়েছেন ভারত কতটা শক্তিশালী।বিশ্ব তাবড় তাবড় নেতারা বুঝেছে ভারতের সেনাবাহিনী আগ্রাসী ভূমিকায় বিশ্বাস করে না। যখন সন্ত্রাসী হামলা হয় তখন ছোবল দিয়ে বুঝিয়ে দেয় তারা কত শক্তিশালী। পৃথিবীর মধ্যে সৈন্য সংখ্যায় ভারতবর্ষ প্রথম স্থানে রয়েছে। এমনকী নৌ, বিমান, পদাতিক সবদিক দিয়ে ভারতের সেনাবাহিনী বিশ্বসেরা। ভারতবর্ষ আগ্রাসন নীতিতে বিশ্বাসী নয়। সিন্দুর অপারেশনের মাধ্যমে বিশ্ব বুঝে গিয়েছে ভারতবর্ষ আগামী দিনে অর্থনৈতিক, রাজনীতিকী, কূটনৈতিক, রণনীতি এবং বিদেশ নীতিতে কতটা এগিয়ে গেছে।


তিরঙ্গা যাত্রায় দেশপ্রেমের ঢেউয়ে নিজেকে ডুবিয়ে রাখলেও দেশের শত্রু সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তানকে সমালোচনা করতে ছাড়েননি। এর সাথে কমিউনিস্টদেরও একহাত নিলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, এরপরেও দেশের মধ্যে ছোট্ট একটা অংশ শত্রুতা করতে পিছুপা হয় না। কমিউনিস্টকে আক্রমণ করে মন্ত্রী বলেন, তারা কখনও দেশকে ভালোবাসেনি। শত্রু হিসাবেই থাকতে ভালোবাসে। কিন্তু এ দেশের সবকিছু ভোগ করে অপর দেশকে অকেজো করে দিতে তারা খুব খুশি। তাই রাজ্য এবং দেশের মানুষের দাবি উঠছে যারা দেশের শত্রু তাদের চিহ্নিত করার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *