October 25, 2025

সিপিএমকে রোখা যাবে না: জিতেন, বিভাজনের রাজনীতি করেও ক্ষমতাচ্যুত হবে বিজেপি: মানিক!!

 সিপিএমকে রোখা যাবে না: জিতেন, বিভাজনের রাজনীতি করেও ক্ষমতাচ্যুত হবে বিজেপি: মানিক!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে বিভাজন চাইছে শাসক বিজেপি-মথা জোট। ক্ষমতা ধরে রাখতে কেন্দ্রের নির্দেশে রাজ্যের পরিস্থিতিকে বিষিয়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। পূর্ব পরিকল্পনামাফিক গ্রাম পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি প্রদান হচ্ছে। শাসকদল বিজেপি-মথা নিজেদের ব্যর্থতা আড়ালের জন্যই এসব করছে। বৃহস্পতিবার প্রথমে বন্ধ, এরপর সন্ধ্যায় কমলপুরের শান্তিরবাজারে কী নির্মম ঘটনা ঘটেছে। এসব কিছুই জাতি-উপজাতির মধ্যে ঐক্য ও সুসম্পর্ককে নষ্টের জন্য হচ্ছে। আজ ঠিক এভাবেই বিজেপি-মথা জোটকে বিঁধলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তার দাবি জাতি-উপজাতির মধ্যে বিভেদ তৈরি করেও ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না বিজেপি-মথা জোট সরকার। বিদায় নিশ্চিত। রাজধানীর ওরিয়েন্ট চৌমুহনীতে সিপিএমের সভায় মানিক সরকার বলেন, রাজ্যে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য জাতি উপজাতিদের ঐক্য ও সুসম্পর্ককে নষ্ট করে দেবার চেষ্টা শুরু হয়েছে।মানিকবাবুর অভিযোগ আরএসএস-বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বিজেপি একই কায়দায় রাজ্যে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। যাতে মূল সমস্যা থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া যায়। যদিও শেষরক্ষা হয়নি বিজেপি-মথার ষড়যন্ত্র মানুষের কাছে ধরা পড়ে গিয়েছে।

বিরোধী দলনেতা জিতেন চৌধুরী, বামফ্রন্ট আহ্বায়ক মানিক দে-কে পাশে বসিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার আরও বলেন, ‘ব্যভিচার, দুর্নীতি, সরকারী অর্থ লুট, খুন, ধর্ষণ সহ নানা অপকর্মে যুক্ত অপরাধীরা মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাজ্যে নির্বিকার সরকার কার্নিভালে ব্যস্ত। যে সরকারের কোনো নীতি নেই সেখানে দুর্নীতি অধিকার হিসেবে চিহ্নিত হবেই।সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী বলেন, এক মাসের মধ্যেই দুর্নীতিবাজ সরকারের ভয়ঙ্কর তিনটি ঘটনা সামনে এসে গিয়েছে। ঘটনার শুরু উনিশ সেপ্টেম্বর উদয়পুরের মির্জা থেকে।জিতেন চৌধুরী বলেন, ‘ভাবতে পারেন রেলের ওয়াগন পূর্ণ করে নেশা সামগ্রী চলে আসছে, দুর্ঘটনাবশত এটা ধরা পড়েছে বলে
আমরা জানলাম। তার মতে পেছনে রাঘব বোয়ালরা না থাকলে এমন হতে পারে না, ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক মাথারাও যুক্ত।’ বিজেপির নেশামুক্ত স্লোগান হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে।
রাজ্যের পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে এসে ঠেকেছে যে মন্ত্রী সুধাংশু দাস সংবিধানের নামে শপথ নিয়ে সোর্স মানি নেবার স্বীকারোক্তি দিচ্ছেন। জিতেনবাবু বলেন, মন্ত্রী সাহেব ২০২১ সাল পর্যন্ত বিপিএল-অন্ত্যোদয় যোজনার পরিবারের সদস্য ছিলেন। দেখা গেলো ২০২৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারীতে তার ভাই সর্বোচ্চ আয়করদাতা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন। তার আয়ের সোর্স কি? এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জিতেনবাবু।
দুর্নীতিকে স্বীকৃতি দেওয়া মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতেই হবে বলে তিনি দাবি জানান। এছাড়া মহিলাদের উপর ধারাবাহিক নির্যাতন ও নেশা কারবারিদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, গত সাড়ে সাত বছর ধরে বেকার, শিক্ষক কর্মচারী, শ্রমিক, কৃষক, জুমিয়া সহ সকল অংশের মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে বিজেপি। জিতেনবাবুর অভিযোগ বিজেপির আমলে শুধুমাত্র মন্ত্রী ও তার ভাইয়ের এবং গুন্ডাদের আয় বৃদ্ধি হচ্ছে। মিস কলে চাকরি, বছরে পঞ্চাশ হাজার চাকরি, কেন্দ্রীয় হারে বেতনভাতা প্রদান, রেগার মজুরি বৃদ্ধি সহ বিজেপির ২৯৯টি প্রতিশ্রুতি এখন হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন,পুলিশ লেলিয়ে, গুন্ডা-সমাজদ্রোহীদের দিয়ে সিপিএমকে আটকাতে পারবে না বিজেপি।শাসক
দল বিজেপি সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে পথে নেমে গিয়েছেন রাজ্যবাসী। সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য মানিক দে, রতন দাস ও কৃষ্ণা রক্ষিত। উপস্থিত ছিলেন নারায়ণ কর, রতন ভৌমিক প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *