অন্ধ্রপ্রদেশের মন্দিরে একাদশীর ভিড়ে পদপিষ্ট, মৃত অন্তত সাত!শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর!!
সরকারী সাহায্য পেলে লাভবান হবে রাজ্যের আখ চাষিরা!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-সরকারী সাহায্য সহযোগিতা পেলে এখনও ত্রিপুরা রাজ্যের আখ চাষিরা লাভের মুখ দেখতে পারবেন বলে আশা করেন আখ চাষিরা। অতীতে ত্রিপুরা রাজ্যে অন্যতম কৃষিজাত ফসল ছিল আখ। কিন্তু বর্তমানে তা প্রায় বিলুপ্তির পথে। বিগত পঁচিশ বছর ধরে আখ চাষ করেই সংসার প্রতিপালন করছেন গোমতী জেলার অন্তর্গত উদয়পুর মহকুমার পূর্ব পালাটানার মোল্লা টিলা এলাকার আব্দুল মোনাফ। প্রায় বারো থেকে তেরো গণ্ডা জমিতে তিনি এই আখ চাষ করেন।পালাটানায় অবস্থিত আখ চাষির জমিতে উৎপাদিত আখ কিছুটা গ্রামেগঞ্জে,কিছুটা উদয়পুর শহর অঞ্চল ছাড়া অধিকাংশ আখই আগরতলার আখ ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি দরে বিক্রি করে থাকেন। বর্তমানে সড়কের পাশে আখের রস বিক্রেতাদের দোকানে দেখা যায় প্রচুর মানুষের ভিড়।আখের রস খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যসম্মতও।প্রচণ্ড গরমে মানুষ যখন হাঁসফাঁস করে তখন এই আখের রস খেয়ে অনেকটাই তেষ্টা মেটানো সম্ভব হয়। এ বছর প্রথম তিনি এক প্রকার নতুন লালচে রংয়ের আখ চায়না থেকে বাংলাদেশ হয়ে সোনামুড়া দিয়ে এনে তার জমিতে চাষ করেন। চারার জন্য প্রত্যেকটা আখের আঁটি চাষির কৃষি ক্ষেত পর্যন্ত পৌঁছাতে প্রায় বারো টাকা করে দাম পড়েছে।এই লালচে রঙের আখগুলি খেতে অনেকটাই নরম এবং সুমিষ্ট বলে জানান আখ চাষি। তবে বর্তমানে সার, ওষুধ এবং শ্রমিকের মূল্য বৃদ্ধির কারণে অনেকটাই বিপাকে পড়ছেন কৃষক। তিনি জানান, অন্যান্য কৃষি জমিতে শ্রমিকের মূল্য দিন প্রতি পাঁচশ টাকা হলেও আখের জমিতে বেলা প্রতি শ্রমিকের মূল্য সাতশ টাকা। কারণ বেশিরভাগ শ্রমিকই আখ ক্ষেতে শ্রম দিতে চায় না। গত বছর বন্যার কারণে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হলেও সরকার থেকে কোনও সাহায্য সহযোগিতা পাননি বলে নতুন করে ঝুঁকি নিতে চান না বলে জানান চাষি। তবে সেচের সুব্যবস্থা না থাকার কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আখ চাষিকে। তিনি জানান, ক্যানেল দিয়ে তার আখের জমিতে জল পৌঁছাতে দীর্ঘক্ষণ লেগে যায়।তার জমিতে প্রায় চারশ মিটার দূরে অবস্থিত একটি জলের পাম্প থেকে তিনি নলের সাহায্যে জল সংগ্রহ করেন কৃষি জমির জন্য। তিনি আরও জানান, তার আখের জমি থেকে প্রায় তিনশ মিটার দূরে আরও একটি জলের পাম্প মেশিন অবস্থিত। সেখান থেকে যদি পাইপের সাহায্যে আখের জমিতে জল দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা সরকার করে দিতো তাহলে তিনি উপকৃত হতেন। দশ থেকে পনেরো বছর আগে আখ চাষের জন্য কিছু সরকারী অনুদান পেলেও বর্তমানে তিনি কোনো সরকারী সাহায্য পান না বলে জানান। তিনি আরও বলেন, জলসেচের সমস্যার নিরসন না হলে আগামী দিনে তার পক্ষে এই আখ চাষ করা সম্ভবপর হবে না।