August 5, 2025

শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠনে সকলকে শপথ নেওয়ার আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর!!

 শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠনে সকলকে শপথ নেওয়ার আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-লক্ষাধিক ধর্মানুরাগী মানুষের কোলাহল ও জাতিজনজাতির মেলবন্ধনের বার্তা দিয়ে শুরু হলো দুইদিনব্যাপী তীর্থমুখের ঐতিহ্যবাহী পৌষ সংক্রান্তি মেলা।রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহার হাত ধরে মেলার উদ্বোধন করা হয়।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা,সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, টিটিএএডিসির কার্যনির্বাহী সদস্যা ডলি রিয়াং,বিধায়ক সঞ্জয় মানিক ত্রিপুরা, বিধায়িকা নন্দিতা রিয়াং, বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা এস. প্রভু, জেলাশাসক তড়িৎকান্তি চাকমা ও পুলিশ সুপার নমিতা পাঠক প্রমুখ।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন করবুক ব্লকের বিএসির ভাইস চেয়ারম্যান প্রণব ত্রিপুরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে টিটিএএডিসির কার্যনির্বাহী সদস্যা ডলি রিয়াং তীর্থমুখ এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানান।তিনি বলেন,তীর্থমুখ হলো জনজাতিদের গয়া কাশী।এই স্থানটির সাথে জনজাতিদের ধর্মীয় ভাবাবেগ জড়িয়ে আছে।তাই এই এলাকার উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয়
পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হাত জোড় করে অনুরোধ জানান। পাশাপাশি তিপ্রা মথার ওই নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা.
মানিক সাহার ভূয়শী প্রশংসা করেন।জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,আগামী মার্চ মাসের মধ্যে তীর্থমুখ এলাকায় মোবাইল টাওয়ার প্রতিস্থাপনের কাজ সম্পন্ন করা হবে।এছাড়াও তিনি বলেন, অত্র এলাকার উন্নয়নের জন্য জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে ১৫ কোটি টাকার একটি ডিপিআর তৈরি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা তার ভাষণে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠন করার জন্য আজকের পবিত্র দিনে সকলকে শপথ নেওয়ার আহ্বান জানান।পাশাপাশি জাতি জনজাতি সকল অংশের মানুষ একে অপরের হাত ধরে চলার অঙ্গীকার নিতে বলেন।তিনি বলেন, যে ধর্মীয় বিশ্বাস ও আস্থার টানে তীর্থমুখে প্রচুর সংখ্যক মানুষ সমবেত হয়েছে, সেইরকম বিশ্বাস রয়েছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি।তিনি বলেন,প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গদর্শন অনুসরণ করে আমরা রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া ও জেলাশাসক তড়িৎকান্তি চাকমা।এদিকে রবিবার সকাল থেকে গোমতীর উৎস স্থলে গঙ্গা পুজো, অস্থি বিসর্জন ও পূজার্চনার কাজ শুরু হয়ে যায়।দলে দলে পুণ্যার্থীরা ধূপকাঠি, মোমবাতি জ্বালিয়ে রাত বারোটার প্রহর গুনছে। বারোটার পর মকর সংক্রান্তির পুণ্য তিথিতে মাথা মুন্ডন করে পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ ও অববাহিকা করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষে মুক্ত মঞ্চে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে সারারাতব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর কৃষ্টি সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়।মেলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়নমূলক কাজের প্রদর্শনী স্টল খোলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *