August 2, 2025

শিক্ষা দপ্তরের চূড়ান্ত ব্যর্থতায়,৩ বছর ধরে নিয়োগ নেই এসটিজিটি শিক্ষক, আন্দোলনে নামলো বেকাররা!!

 শিক্ষা দপ্তরের চূড়ান্ত ব্যর্থতায়,৩ বছর ধরে নিয়োগ নেই এসটিজিটি শিক্ষক, আন্দোলনে নামলো বেকাররা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- রাজ্যে গত সাড়ে তিন বছর ধরে এসটিজিটি পদে শিক্ষক নিয়োগ অধরা। শুধু তাই নয় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ত্রিপুরা টিচার রিক্রুটমেন্ট বোর্ড আয়োজিত এসটিজিটি পরীক্ষার ফলাফল এখন পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি। যদিও রাজ্যব্যাপী প্রচার চলছে অবিলম্বে নাকি রাজ্য সরকারী স্কুলে প্রায় ১৬শ শিক্ষক নিয়োগ হবে। অথচ বাস্তব হলো সাড়ে তিন বছর ধরে ত্রিপুরায় নবম ও দশম শ্রেণীতে পাঠারত ছাত্রছাত্রীদের জন্য গ্র্যাজুয়েট টিচার নিয়োগ করছে না রাজ্য সরকার। প্রত্যেকদিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলা মহকুমা সরকারী স্কুলে পাঠরত ছাত্রছাত্রীরা পথ অবরোধে বাধ্য হচ্ছেন। এরপরও হুঁশ ফিরল না রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের।শুক্রবার অবিলম্বে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এস টি জি টি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ সহ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার দাবিতে রাজপথে নামলেন রাজ্যের ক্ষুব্ধ বেকার যুবক যুবতীরা। এদিনও রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরে এবং টিআরবিটির সদর ঘেরাও করলেন বেকাররা। তবে এদিনও রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের কপালে জুটেছে হতাশা। বেকাররা খেলেন পুলিশের দাবড়ানি।
জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় ৩৫০টি গ্র্যাজুয়েট টিচার (নবম এবং দশম শ্রেণীর জন্য) এস টি জি টি পরীক্ষা নিয়েছিল রাজ্য সরকারের টিআরবিটি। কিন্তু গ্র্যাজুয়েট টিচার পদের নিয়োগ বিজ্ঞাপন ছিল ত্রুটিপূর্ণ। ওই সময় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে সংরক্ষণ নীতি সঠিকভাবে মানা হয়নি। শিক্ষা দপ্তরের চূড়ান্ত ব্যর্থতার জন্য টিআরবিটির সদর ঘেরাও করলেন বেকাররা। তবে এদিনও রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের কপালে জুটেছে হতাশা। বেকাররা খেলেন পুলিশের দাবড়ানি।জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় ৩৫০টি গ্র্যাজুয়েট টিচার (নবম এবং দশম শ্রেণীর জন্য) এস টি জি টি পরীক্ষা নিয়েছিল রাজ্য সরকারের টিআরবিটি। কিন্তু গ্র্যাজুয়েট টিচার পদের নিয়োগ বিজ্ঞাপন ছিল ত্রুটিপূর্ণ। ওই সময় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে সংরক্ষণ নীতি সঠিকভাবে মানা হয়নি।
শিক্ষা দপ্তরের চূড়ান্ত ব্যর্থতার জন্য এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ২০২২ সালে মামলা হলো আদালতে। শুধু তাই নয় আদালত সংরক্ষণ নীতি সঠিকভাবে রূপায়ণ করে গ্র্যাজুয়েট টিচারের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশও দিয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে শিক্ষা দপ্তর আদালতের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করেছিল। কেন বেকারদের বিরুদ্ধে গিয়ে শিক্ষা দপ্তর সর্বোচ্চ আদালতে গেলেন? এ প্রশ্নের উত্তর আজ পর্যন্ত শিক্ষা দপ্তর আধিকারিকদের কাছ থেকে পেলো না বেকার যুবক-যুবতীরা। শুধুমাত্র সর্বোচ্চ আদালতের মামলার জন্য এ সম্পূর্ণ নিয়ম প্রক্রিয়া মাঝপথে ঝুলে গিয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে খবর এই মামলার জন্যেই এখন নতুন করে নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য গ্র্যাজুয়েট টিচার নিয়োগ করা যাচ্ছে না। এমনকি এর কোন খোরাক খুঁজে পাচ্ছে না শিক্ষা দপ্তরের মাথাভারী প্রশাসন। তাই ২০২২ সালের এসটিজিটি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হচ্ছে না।
এদিকে বেকার যুবক-যুবতীদের অভিযোগ রাজ্যের বর্তমান সরকারের নেতা মন্ত্রীরা গ্রাম পাহাড় এবং শহরের প্রত্যেকটি জনসভায় রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে বলে প্রচারে ব্যস্ত। বাস্তব হচ্ছে তার উল্টো। একদিকে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ঘিরে মামলা হচ্ছে আদালতে। অন্যদিকে ফাইনাল আনসার কি দেওয়া হচ্ছে ভুলে ভরা। মানা হচ্ছে না সঠিক সংরক্ষণ নীতি। আর চাকরি দাবিতে পথে নামলে বেকারদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনকে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের বর্তমান সরকারের ব্যর্থতার জন্য রাজ্যের উচ্চ শিক্ষিত যুবক যুবতী প্রত্যেক মাসে বয়সোত্তীর্ণ হচ্ছেন। অথচ মহাকরণের ঠাণ্ডা ঘরে বসে সরকারের প্রচার হচ্ছে। যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *