November 8, 2025

শহরের গলিরাস্তাতে বেআইনি পার্কিং,লোকদেখানো অভিযান করছে ট্রাফিক পুলিশ, জনমনে ক্ষোভ!!

 শহরের গলিরাস্তাতে বেআইনি পার্কিং,লোকদেখানো অভিযান করছে ট্রাফিক পুলিশ, জনমনে ক্ষোভ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-শহরের রাস্তায় গাড়ি পার্কিং বড় সমস্যা। দিন দিন যত গাড়ি বাড়ছে তার একটি অংশ পার্কিং হচ্ছে রাস্তার উপর। আগরতলা মূল রাস্তা সহ এখন গলির রাস্তাগুলিতেও গাড়ি পার্ক করে রাখছেন চালকরা। বেআইনি পার্ক করে রেখে ভয় পাচ্ছেন না গাড়ি চালক ও মালিকরা। দেশের অন্যান্য স্মার্ট সিটিতে রাস্তায় বেআইনিভাবে গাড়ি পার্ক করে রাখলে ট্রাফিক পুলিশ মুহূর্তে এসে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কিন্তু আগরতলা স্মার্ট সিটিতে ট্রাফিক পুলিশ ব্যস্ত শুধুমাত্র বাইক অটো নিয়ে। রাজ্যে গাড়ি কিনলেও রাখার জন্য গ্যারেজ নেই বহু চালক বা মালিকের। যে কারণে গাড়ি রাখা হয় রাস্তার উপর। আগরতলায় বহু গলি রাস্তা রয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকেই এ রাস্তাগুলি বেআইনিভাবে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।নেই কোন নিয়ন্ত্রণ। বিষয়টি নজরে রয়েছে ট্রাফিক পুলিশের।যে কারণে গত ২৮ অক্টোবর ট্রাফিক পুলিশের সুপার কান্তা জাহাঙ্গীর বিশেষ অভিযানে নেমেছিলেন। সন্ধ্যার পর তিনি এ বিশেষ অভিযান শুরু করেন। পোস্ট অফিস চৌমুহনী থেকে শুরু করে রাস্তার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন গলি দিয়ে বেআইনিভাবে পার্ক করে রাখা গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেন। তখন পুলিশ সুপার কান্তা সংবাদ মাধ্যমে বলেছিলেন এ ধরনের পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এই ব্যবস্থা বেশিদিনের জন্য নিল না ট্রাফিক পুলিশ। পুলিশ সুপার অফিসে বন্দি হয়ে যেতেই আবারো শহরের গলিগুলিতে গাড়ি পার্কিং শুরু হয়ে গেছে। শহরের রামনগরের প্রায় সব কটি গলিতে গাড়ি বেআইনিভাবে পার্ক হয়ে থাকছে। একই অবস্থা জয়নগরের গলিগুলি। কৃষ্ণনগর, বনকুমারী, ধলেশ্বর -প্রায় সব জায়গায় গলিরাস্তা দখল হয়ে থাকছে।যদিও ট্রাফিক পুলিশের ডিএসপি দীপক কুমার সরকার জানান,বিভিন্ন গলি থেকে ৭২ টি গাড়ি ক্রেন দিয়ে তুলে এডিনগরে পুলিশ লাইনে রাখা হয়েছে।শহরে ট্রাফিক জ্যাম দূর করতে এই পদক্ষেপ বলে দাবি করেন তিনি। গত ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় বিশেষ অভিযানে নেমে ট্রাফিক পুলিশ সুপার বলেছিলেন, আগরতলায় রাতে রাস্তার পাশে বহু বছর ধরে গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়। বটতলা উড়াড়পুলের নিচে থেকে শুরু করে শহরের গলি রাস্তাগুলিতে গাড়ি পার্ক করে রাখা হয়। রামনগর, জয়নগর, ধলেশ্বর, কৃষ্ণনগর, বনমালীপুর ছাড়াও শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে দিনের বেলায়ও গাড়ি পার্ক করে রাখা হয়। ট্রাফিক পুলিশ এসবের বিরুদ্ধে অভিযান করতে শুরু করেছে। অথচ বেআইনি পার্কিং-এর কারণে রাজনৈতিক অফিস, সরকারী অফিসের সামনে রাস্তা বেদখল হয়ে থাকে। বড় দোকানগুলির বাইরেও বেআইনি পার্কিং থাকে। এসবের বিরুদ্ধে অভিযান করার ক্ষমতা দেখাতে পারেনি ট্রাফিক পুলিশ ইউনিট। যদিও প্রথম দিনের অভিযানে পুলিশ সুপার জানিয়েছিলেন ১৩৬ টি গাড়ির মালিকদের চালান পাঠানো হয়েছে। যেসব যানবাহন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, এগুলি এডিনগর পুলিশ লাইন অথবা আস্তাবলে ট্রাফিক ইউনিটে রাখা হয়েছে। চালানের টাকা জমা দিলে এগুলি ছাড়া হবে। কিন্তু গলিরাস্তাগুলিতেও অভিযান বন্ধ হয়ে আছে। কি কারণে এসব বন্ধ হয়েছে তা নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে গাড়ি বিক্রি করার সময় পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা হলে বেআইনি পাকিংয়ের সমস্যা অনেকটা কমবে বলে মনে করছেন শহরবাসীরা।এর সঙ্গে শহরে ট্রাফিক জ্যামের সমস্যাও অনেকটা কমবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *