August 2, 2025

শনিবার শ্রীমন্তপুর আসছেন নির্মলা।

 শনিবার শ্রীমন্তপুর আসছেন নির্মলা।

অনলাইন প্রতিনিধি :- শনিবার সোনামুড়া মহকুমাস্থিত শ্রীমন্তপুর স্থলবন্দর ও নৌবন্দর পরিদর্শনে আসছেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ, ২০১৬ সালের জানুয়ারী দেশের ৬ দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী থাকাকালে এই স্থলবন্দরের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছিলেন তিনি। দীর্ঘ নয় বছর পর ফের দেশের অর্থমন্ত্রী হিসাবে এই বন্দর পরিদর্শনে আসাকে ঘিরে সাজো সাজো রব। গোটা বন্দর এলাকা,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে জোর কদমে। স্থলবন্দর এক প্রকার যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি অনুযায়ী সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।সেই সঙ্গে নৌবন্দরও পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে। ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর প্রস্তাবিত জলপথ পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছিল।জলপথে জাহাজ আসবে এটাই ছিল প্রচার। শেষ পর্যন্ত সিমেন্ট বোঝাই একটি বজরা এসে পৌঁছে নৌবন্দরের অদূরে। সোনামুড়ার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া রাজ্যের প্রধান নদী গোমতীকে ব্যবহার করে বাংলাদেশ হয়ে ভারতের কলকাতার বন্দর থেকে পণ্যবাহী জাহাজ ত্রিপুরায় আসবে, জলপথে মালবাহী জাহাজ শ্রীমন্তপুর এলে উত্তরপূর্বাঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে এই প্রচারে সোনামুড়ার শ্রীমন্তপুর স্থলবন্দরের কাছেই গড়ে উঠে প্রস্তাবিত নৌরবন্দর, নির্মাণ হয় অস্থায়ীভাবে জেটি।২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর একটি পণ্যবাহী (সিমেন্ট) বজরা এনে কোনওক্রমে মুখ রক্ষা করে তৎকালীন সরকার। তারপর থেকেই কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে নৌবন্দরের কাজ, জাহাজ তো দূরের কথা কোনও পণ্যবাহী নৌকাও গোমতীর জলপথ দিয়ে আসছে না।এই অবস্থায় নৌবন্দরের অস্তিত্ব রক্ষায় গোমতী নদীকে খনন করা, বাংলাদেশে নদীর উপর থাকা বেশকিছু ব্রিজ নিয়ে প্রশ্ন উঠে। ২০২০ সালের পর সোনামুড়ায় এই নৌবন্দরের কাজ এক কদমও অগ্রসর হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে আগামীকাল দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন শ্রীমন্তপুর স্থলবন্দর ও নৌবন্দর পরিদর্শনে আসছেন।উনার আগমনকে কেন্দ্র করে দেশের ল্যাণ্ড পোর্ট অথরিটির চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র, ম্যানেজার দেবাশিস নন্দী শ্রীমন্তপুর স্থলবন্দরের ইনচার্জ প্রদীপ সাহা প্রমুখ বন্দর এলাকায় আসেন। যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন। শ্রীমন্তপুর স্থলবন্দরের ওপাশে অর্থাৎ সীমান্তের ওপারে রয়েছে বাংলাদেশের কুমিল্লা বিবির বাজার। ল্যাণ্ডপোস্ট অথরিটির ম্যানেজার দেবাশিস নন্দী জানান, ভারত ও বাংলাদেশের নৌবন্দরের জনৈক প্রটোকল রয়েছে। বিভিন্ন পণ্য আমদানির নিয়ে অনেক সুযোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।নৌবন্দরে স্থায়ী জেটি নির্মাণের কাজ শুরু করার বিষয়ও খতিয়ে দেখা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *