লুধুয়া চা বাগানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে ইকো টুরিজম: সুশান্ত!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বিকশিত ত্রিপুরার,
বিকশিত পর্যটনের বৃহত্তম পরিসর গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। উন্নয়নের সুষম বিকাশে রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চল লুধুয়া চা বাগান পর্যটন শিল্পের সঙ্গে একসূত্রে গেঁথে রাখতে উদ্যোগী পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। প্রাকৃতিক ও নৈসর্গিক সৌন্দর্য ঘেরা লুধুয়ার সবুজ বনানী পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকে।রাজ্যের উর্বর চায়ের ভূমির অন্যতম এলাকা লুধুয়া চা বাগান।লুধুয়া চা বাগানের একটা জাতীয় পরিচিতি আছে।লুধুয়ার গ্রিন টি। অর্থনৈতিক দিকটি চা বাগানকে কেন্দ্র করে এতদিন আবর্তিত ছিল। বহুকোটি টাকা ব্যয়ে একটি সর্বাধুনিক আবাসিক বিদ্যালয় লুধুয়াতে খোলা হচ্ছে। লুধুয়ার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে অন্তত আকর্ষণীয় উঠতে পারে। প্রাক্তন বিধায়ক শংকর রায় পর্যটনের সম্ভাবনার ক্ষেত্রটি নিয়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পর্যটনমন্ত্রী বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেন। পর্যটনমন্ত্রী রাজ্যের পর্যটন শিল্পের বিকাশের স্বার্থে লুধুয়া চা বাগানকে কেন্দ্র করে নতুন পর্যটন কেন্দ্রকে মানচিত্রে জায়গা করে দিতে ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বড় পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে পর্যটনমন্ত্রী। ইকো টুরিজম পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে ‘লুধুয়ার বিস্তীর্ণ চা বাগানকে কেন্দ্র করে। ইকো টুরিজম পার্কের জন্য পর্যটন দপ্তর টুরিজম পার্কের এলাকা ঘুরে দেখেন।
মন্ত্রী বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেওয়া। শতাব্দী প্রাচীন লুধুয়া চা বাগানের অপরূপ ও নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কেন্দ্র করে দার্জিলিংয়ের মতো একটা ভালো টুরিস্ট স্পট হয়ে উঠবে সাব্রুমের এই অঞ্চল। পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি আসবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পর্যটনমন্ত্রী ডাইরেক্টর টুরিজম, মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট, বিডিও, একঝাঁক আধিকারিক নিয়ে প্রস্তাবিত পর্যটন কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন। দ্রুত টেন্ডার ডাকা হবে। আগামী দুমাসের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যাবে। পর্যটন মন্ত্রীর সাথে আধিকারিকদের পাশাপাশি প্রাক্তন বিধায়ক শংকর রায়, প্রাক্তন সাব্রুম নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান শান্তিপ্রিয় ভৌমিক, তাপস লোধ উপস্থিত ছিলেন।