শক্তি সংরক্ষণে ফের রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে ভূষিত হলো ত্রিপুরা!!
রাজ্যে ভারতীয় সেনার ৭৩ মাউন্টেন ব্রিগেড!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে এলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৭৩ মাউন্টেন
ব্রিগেড এবং ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার ধীরাজ সিং। ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ৭৩ মাউন্টেন ব্রিগেড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ঢাকায় ভালো সফলতা পেয়েছিল এই বাহিনী। এখন রাজ্যে আবারও এসেছে এই বাহিনী। শনিবার বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার ধীরাজ সিং রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নাল্লুর সঙ্গে দেখা করেছেন। রাজভবন সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যপালের সঙ্গে প্রায় আধ ঘন্টা আলোচনা করেছেন ব্রিগেডিয়ার ধীরাজ সিং। রাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন নিরাপত্তাজনিত বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশে নির্বাচন ঘোষণার মুহূর্তে যুদ্ধে দক্ষ ভারতীয় সেনাবাহিনীর মাউন্টেন ব্রিগেড রাজ্যে আসা ঘিরে নানা ধরনের গুঞ্জন রয়েছে। কয়েকদিন আগেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর বারোজনের একটি টিম কৈলাসহর সীমান্ত ঘুরে দেখেছেন। তারা আবার সীমান্ত বন্দর দিয়ে প্রত্যেকদিন কতজন বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করতেন এর খোঁজ খবর নিয়েছেন। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সীমান্তও ঘুরে দেখেছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর টিম। বাংলাদেশে নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে। হাসিনা সরকারকে জোর করে উৎখাতের পর থেকে ভোট ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের জল্পনা তৈরি হয়েছে।বাংলাদেশে গণ্ডগোল বাধার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট মহল। এই সময়ে রাজ্যের নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যের তিনদিকেই বাংলাদেশ রয়েছে। ওপারের পরিস্থিতি খারাপ হলে রাজ্যেও এর প্রভাব পড়তে পারে। এই সম্ভাবনার জন্যই সীমান্তে বিএসএফের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে সীমান্ত এলাকার উপর নজর রাখছে বিএসএফের সঙ্গে রাজ্য পুলিশও। এসবের মধ্যে রাজ্যে ৭৩ ব্যাটেলিয়নের বিশিষ্ট সেবা মেডেল, কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার ধীরাজ সিং এর রাজ্যে আসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই বাহিনীর গৌরব বেশ চর্চিত। বিশেষ করে দেশের পূর্বাঞ্চলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এই বাহিনী যথেষ্ট দক্ষ। বাংলাদেশে আগামী বছর ফেব্রুয়ারীতে নির্বাচন হওয়ায় এখন থেকেই পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে চাইছেন নিরাপত্তা সংস্থাগুলিও। রাজ্য তথা দেশের উপর যে কোনো ধরনের বিপদ মোকাবিলায় তৈরি ভারতীয় সেনাবাহিনী। যদিও ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বক্তব্য জানানো হয়নি।