রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনিক প্রস্তুতি তুঙ্গে!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-সতীর ৫১ পীঠের এক পীঠ নবনির্মিত মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের দ্বারোদঘাটন সমারোহে আসতে পারেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়েই মাতা ত্রিপুরেশ্বরীর নবনির্মিত মন্দির চত্বরের দ্বারোদঘাটনের প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই মাতাবাড়িতে প্রসাদ প্রকল্পের মাধ্যমে মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। কুর্ম পীঠের আদলে নতুনভাবে গড়ে ওঠা স্থাপত্য শিল্পকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে উদ্বোধনের প্রয়াস নিয়েছে রাজ্য সরকার।আর ওই উদ্বোধনকে সামনে রেখে রবিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব সহ অন্য সচিবদের রাজ্য পুলিশের ডিজি সহ পদস্থ পুলিশ আধিকারিক সহ রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা পুনর্গঠিত বা পুনর্নির্মিত মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির চত্বর তথা মাতাবাড়ি পরিদর্শন করেন।
মুখ্যমন্ত্রীর সাথে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়, জেলা সদরের তিন বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া, জিতেন্দ্র মজুমদার, অভিষেক দেবরায়, জেলা সভাধিপতি দেবল দেবরায় সহ গোমতী জেলার জেলা পুলিশ সুপার কিরণ কুমার কে, জেলাশাসক রিঙ্কু লাথের সহ জেলার অন্য পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, ডিজিপি সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা মাতাবাড়ি প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করে উদ্বোধনের প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইত্যাদি খতিয়ে দেখেন।
মাতাবাড়ি পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এখনও উদ্বোধনের দিনক্ষণ স্থির হয়নি। সম্ভাব্য সব ধরনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে আগামী ২২ সেপ্টেম্বরকে উদ্বোধনের সম্ভাব্য দিনক্ষণ ধরে নিয়েই যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে নেওয়া হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসনের বিশ্বস্ত সূত্রের সংবাদ।
যদিও রাজ্য প্রশাসনের তরফে পাঠানো আগামী ২২,২৪,২৯ সেপ্টেম্বর ও ১৮ অক্টোবর এই চারটি সম্ভাব্য দিনক্ষণের মধ্যে দিল্লীর সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছে জেলা ও রাজ্য প্রশাসনের কর্মকর্তারা। মাতাবাড়ি প্রাঙ্গণ পরিদর্শনশেষে প্রশাসনের আধিকারিকরা জেলা সদরের হেলিপ্যাডগুলিরও বাস্তব অবস্থার তথ্য তালাশ করেছেন। প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরা পালাটানা ওটিপিসির হেলিপ্যাড পরিদর্শন করেছেন বলেও বিশ্বস্ত সূত্রের সংবাদ। দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে পুনর্নির্মিত মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের দ্বারোদঘাটনের প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, বিধায়কেরা ও রাজ্য পুলিশের ডিজির নেতৃত্বে প্রশাসনিক প্রতিনিধি।প্রতিনিধি দলে জেলা পুলিশ সুপার, জেলার জেলাশাসক সহ জেলার অন্য আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।