দেশি-বিদেশিদের উপচে পড়া ভিড়,আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে জম্পুই!!
রাজ্যের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নে এনইআরপিসির সঙ্গে বৈঠক!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা এবং আধুনিকীকরণ নিয়ে বৃহস্পতিবার আগরতলায় বিদ্যুৎ নিগমের কর্পোরেট কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। নর্থ ইস্ট রিজিওনাল পাওয়ার কমিটির সদস্য-সচিব কে বি জগতাপ এবং নর্থইস্ট রিজিওনাল লোড ডেসপাস সেন্টারের প্রধান সাজন জর্জের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে পর্যালোচনায় অংশ নেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেডের ব্যবস্থাপক অধিকর্তা বিশ্বজিৎ বসু, কারিগরি অধিকর্তা ডা. সুবীর সেন এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা। বৈঠকে রাজ্যের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার নানা মৌলিক দিক -গ্রিড স্থিতিশীলতা, ট্রান্সমিশন পরিকাঠামো, সাইবার নিরাপত্তা, বাণিজ্যিক লেনদেন, এনার্জি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং নিরাপত্তা পরামর্শক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে ত্রিপুরা পাওয়ার ট্রান্সমিশন লিমিটেডের রিকন্ডাক্টিং কাজ এবং তা দ্রুত সম্পন্ন করার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
প্রতিনিধি দল জানায়, রাজ্যে গ্রাহক বান্ধব বিদ্যুৎ পরিষেবা নিশ্চিত করতে নর্থ ইস্ট রিজিওনাল পাওয়ার কমিটি ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে। তাদের মতে, বিদ্যমান পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণে সমন্বিত পরিকল্পনা হলে গ্রিডের পারফরম্যান্স উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।ক্ষমতা বিনিময় ও গ্রিড পরিচালনায় আঞ্চলিক সমন্বয় নিশ্চিত করতেই রিজিওনাল পাওয়ার সেন্টার গঠিত হয়েছে। বিদ্যুৎ আইন ২০০৩ অনুসারে, দেশে প্রতিটি অঞ্চলে এই কমিটি গ্রিডের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং দক্ষতা বাড়ানোর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। এর সদস্য-সচিব কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিযুক্ত হন এবং বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ, ট্রান্সমিশন পরিকল্পনা, রক্ষণাবেক্ষণ সূচি, গ্রিড ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক দক্ষতা বাড়ানোর কাজ পরিচালনা করে। উল্লেখ্য, রিজিওনাল পাওয়ার সেন্টারের অন্যতম দায়িত্ব হলো আন্তঃরাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ স্থানান্তর সহজ করা।গ্রিডের নিরাপদ পরিচালনায় সুরক্ষা ও অপারেশনাল স্টাডি করা এবং আঞ্চলিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থার জন্য বার্ষিক ও মাসিক রক্ষণাবেক্ষণ পরিকল্পনা তৈরি করা। এছাড়া গ্রিড চলাচল, শিডিউলিং, ট্রান্সমিশন চার্জ এবং এনার্জি অ্যাকাউন্টিং সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নেও কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বৈঠক শেষে কর্মকর্তারা জানান, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ধারাবাহিক সমন্বয় হবে। তাদের বিশ্বাস, এই সহযোগিতা ত্রিপুরায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থার নির্ভরযোগ্যতা বাড়াবে এবং গ্রাহকদের জন্য আরও স্থিতিশীল পরিষেবা নিশ্চিত করবে।