August 2, 2025

যুদ্ধ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রাজ্যের বাজারে মূল্যবৃদ্ধি, ক্ষোভ!!

 যুদ্ধ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রাজ্যের বাজারে মূল্যবৃদ্ধি, ক্ষোভ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী শুক্রবার সকাল থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি করতে মাঠে নেমে পড়েছে। বহি:রাজ্যের উৎসস্থলে মূল্যবৃদ্ধি সহ নানা মনগড়া অজুহাত খাড়া করে অসাধু পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায়ীরা অসহায় মানুষের যথেচ্ছভাবে পকেট কাটতে শুরু করেছে। যদিও বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সন্তোষজনকভাবে মজুত রয়েছে। কোন সংকট নেই।যুদ্ধ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আচমকা কোনও কোনও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য শুক্রবার সকাল থেকেই বৃদ্ধি করে ক্রেতাসাধারণের পকেট কাটা শুরু করলেও প্রশাসন ও খাদ্য দপ্তরকে এ দিন বাজারে দেখা যায়নি বলে ক্রেতাসাধারণের অভিযোগ। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বৃহস্পতিবার অপারেশন সিন্দুর যুদ্ধ শুরুর পরদিন রাত ভোর হয়ে সকাল হতেই অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ফাটকাবাজিতে নেমে পড়েছে বলে অভিযোগ। যদিও খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা সুমিত লোধ জানিয়েছেন, খাদ্য দপ্তর বাজারের দিকে পুরো নজর রেখেছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে যুদ্ধ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি করতে না পারে সে বিষয়ে খাদ্য দপ্তর সঠিক ও কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে। শুধু আগরতলা নয়,গোটা রাজ্যের কোনও বাজারেই যাতে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মূল্যবৃদ্ধি না ঘটানো হয় সেই ব্যবস্থা নিচ্ছে খাদ্য দপ্তর।
এদিকে, সদর মহকুমাশাসক মানিক লাল দাসকে বাজারে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে বলে জানালে তিনি জানান মূল্যবৃদ্ধি যাতে না হয় তাতে আগরতলা ও সদর মহকুমার বাজারগুলিতে টাস্ক ফোর্স বাজারে গিয়ে কাজ শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার যুদ্ধ শুরুর পরদিন আগরতলার মহারাজগঞ্জ বাজারে পাইকারিতে মশুরি ডাল প্রতিকিলোতে দেড় টাকা থেকে দুই টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বহি:রাজ্য থেকে আমদানিকৃত চালের মূল্য পাইকারিতে প্রতিকিলো ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাইকারিতে মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরো বাজারেও মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। আলুর মূল্য প্রতিকিলোতে ১ টাকা পাইকারিতে বৃদ্ধি পেয়েছে।এভাবে শুক্রবার দিনভর অবাধে একের পর এক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে আগরতলার সব বাজারে।
আচমকা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কী কারণ আছে সে বিষয় জানতে চাইলে মহারাজগঞ্জ বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, বহি:রাজ্যের উৎসস্থলে নাকি মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। তাদেরকে প্রশ্ন করা হয় বহি:রাজ্যে উৎসস্থলে মূল্যবৃদ্ধি পেলে সেই জায়গা থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ট্রেনে ও অন্যান্য যানবাহনে করে আগরতলায় পৌঁছতে অন্তত দু’তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। তাহলে আগের কেনা ব্যবসায়ীর কাছে মজুত মালামালের কীভাবে এখন মূল্যবৃদ্ধি পেলো ও পাচ্ছে সে বিষয়ে সঠিক কোনও সদোত্তর নেই।
এদিকে, পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায়ীদের দোকানে মূল্যতালিকা বা বোর্ডও প্রকাশ্যে স্পষ্টভাবে টাঙানো নেই। তাতে প্রশাসন ও খাদ্য দপ্তরের নজর কীভাবে এড়িয়ে যাচ্ছে তা নিয়েও ক্রেতারা প্রশ্ন তুলেছেন। এমনিতেই বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য সারা বছরই খুব চড়া থাকে, সেখানে এখন যুদ্ধ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাজারে আবার যথেচ্ছ মূল্য বৃদ্ধি পেতে থাকায় ক্রেতাসাধারণ পড়েছেন ভীষণ বিপাকে। মূল্যবৃদ্ধির জাঁতাকলে পড়ে গরিব, দুঃস্থ ও সাধারণ নিম্ন রোজগারের মানুষ আরও ক্রয়ক্ষমতা হারাচ্ছেন।তাতে ক্ষোভও অসন্তোষ বাড়ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *