ম্যাংগো ফেস্টিভাল ত্রিপুরার আমকে, একটি ব্র্যান্ডে প্রতিষ্ঠিত করার সম্ভাবনা তৈরি করছে: রতন!!


অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরার ডম্বুর জলাশয়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ঘেরা নারিকেল কুঞ্জে দুদিনব্যাপী মনসুন ম্যাংগো ফেস্টিভাল রবিবার শেষ হয়েছে। সমাপ্তিদিনে উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী রতনলাল নাথ। উপস্থিত ছিলেন এমডিসি ভূমিকা নন্দ রিয়াং, ধলাই জেলাশাসক, জেলা সভাধিপতি, কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা সহ অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। মন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, সরকার এই উৎসবের মাধ্যমে কৃষকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমের রপ্তানি, বিশেষ করে বহিঃরাজ্যে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছানোর জন্য একাধিক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।

এই উদ্যোগ কৃষকদের আয় বৃদ্ধি এবং ত্রিপুরার আমকে একটি ব্র্যান্ড হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার সম্ভাবনা তৈরি করছে।

মন্ত্রী বলেন, এই উৎসবে বিভিন্ন প্রজাতির আম, যেমন আম্রপালি, হিমসাগর, ল্যাংড়া, মিয়াজাকি, হাঁড়ি ভাঙা, ব্যানানা ইত্যাদি প্রজাতির আম প্রদর্শনী হয়। এছাড়াও আনারস, সর্পিকলা, বাঁশকুরুল, লেবু এবং কাঁঠালের মতো ফল নিয়ে কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ বিস্তারিত আলোচনা করেন।
মন্ত্রী বলেন, গণ্ডাছড়ার মতো এলাকা, যেখানে আম উৎপাদন উৎকর্ষের শিখরে পৌঁছেছে, তাকে কেন্দ্র করে এই উৎসব কৃষকদের জন্য একটি বড় বাজার তৈরি করতে পারে। এছাড়াও ডম্বুর জলাশয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য একটি আদর্শ স্থান হতে পারে। এই উৎসবের মাধ্যমে কৃষকদের উৎপাদিত আমের বাজার সম্প্রসারণ এবং পর্যটন উন্নয়নের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, কৃষি দপ্তর চাষিদের উৎসাহিত করতে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে উন্নত চাষ পদ্ধতি, বাজার সংযোগ এবং রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি। এদিকে স্থানীয় চাষিদের অভিযোগ, কৃষি সারের সংকট চলছে গণ্ডাছড়ায়। গণ্ডাছড়ার চাষিরা কৃষি সারের অভাব নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তাদের দাবি, কৃষি দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক সার, যেমন ইউরিয়া, ডিএপি এবং এমওপি পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ করা হচ্ছে না। ফলে চাষিদের বাজার থেকে চড়া মূল্যে সার কিনতে হচ্ছে, যা তাদের উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। স্থানীয় চাষিরা বলেন, কৃষি দপ্তরের সারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আবেদন করেও কোনে লাভ হয়নি। অপরদিকে আজ রাতভর নারকেল কুঞ্জে রাজ্যে এবং বহি:রাজ শিল্পীদের দ্বারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।