August 3, 2025

মৃত্যুর চার বছর পরেও বাবার হৃদস্পন্দন শুনছে তিন বোন।

 মৃত্যুর চার বছর পরেও বাবার হৃদস্পন্দন শুনছে তিন বোন।

আশ্চর্যজনক কাহিনি, কিন্তু একই সঙ্গে মর্মস্পর্শী।ঘটনাস্থল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট। বাবা মারা গেছেন চার বছর আগে। কিন্তু তিন বোন এখনও শুনতে পাচ্ছে বাবার বুকের লাবডুব শব্দ! জীবিতাবস্থায় তিন বোন যেমন বাবার বুকে মুখ গুঁজে হৃদস্পন্দন শুনতে পেতেন, আজও । নাকি একই রকম ভাবে তা শুনতে পাচ্ছেন। এই পর্যন্ত শুনে মনে হতে পারে বুঝি গল্পের গরু গাছে চড়েছে। বাস্তবে এমনই এক গল্প তিন বোন শেয়ার করেছে ‘টুডে শো’ নামে এক ইনস্টাগ্রাম পেজে। কীভাবে এটা সম্ভব হচ্ছে, সেখানেই লুকিয়ে রয়েছে কাহিনি। আসলে সবটাই সম্ভব হয়েছে অঙ্গদানের কারণে।গোটা গল্পটাই এক বোন। ওই তিন মেয়ের বড় হলেন কিসান্দ্রা সান্তিয়াগো (ছবি)। এখন তার বয়স ২২ বছর। ২০১৯ সালে তার বাবার মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই কিসান্দ্রা তার বাবার হৃৎপিণ্ড দান করার সিদ্ধান্ত নেন। এই বিশ্বাস থেকে কিসান্দ্রা তার বাবার হার্ট দানের সিদ্ধান্ত নেন যে, কোনওদিন অন্য কারও বুকে মাথা রাখলে তিনি শুনতে পাবেন বাবার অতি পরিচিত হৃদয়ের স্পন্দন। যে হাসপাতালে ভদ্রলোক মারা যান, সেই হাসপাতালেই এক রোগীর দেহে অন্য কারও হৃৎপিণ্ড বসানো জরুরি ছিল। কিসান্দ্রার বাবার হার্ট সেই রোগীর দেহেই বসানো হয়। ওই ব্যক্তির মধ্যেই বেঁচে আছেন তার বাবা, লিখেছেন কিসান্দ্রা। কিসান্দ্রার বাবা এস্তেবান সান্তিয়াগো মাত্র ৩৯ বছর বয়সে মারা যান ২০১৯ সালে। বাড়িতেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি, তারপর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু একটা সময় কোমায় চলে যান এস্তেবান। লাইফ সাপোর্টও দিতে হয়। কিন্তু কিসান্দ্রা ও তার পরিবার ঠিক করেন বাবাকে লাইফ সাপোর্ট থেকে বের করে দেবেন। তারা ঠিক করেন, একজন অভাবী মানুষকে বাবার হৃদযন্ত্র দান করবেন। এ বিষয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে কিসান্দ্রা বলেন, ‘আমার বাবা বেঁচে থাকলেও এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতেন, খুশি হতেন।’ বাবার খুশির কথা ভেবেই কিসান্দ্রারা এই সিদ্ধান্ত নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *