August 3, 2025

মাছ উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে ভারত:- কেন্দ্রীয় মৎস্যমন্ত্রী!!

 মাছ উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে ভারত:- কেন্দ্রীয় মৎস্যমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রবিবার রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে কেন্দ্রীয় মৎস্য, ডেয়ারি,পশু প্রতিপালন এবং পঞ্চায়েতি রাজ দপ্তরের মন্ত্রী রাজীব রঞ্জন সিং-এর হাতে ভার্চুয়াল উদ্বোধন হলো ঊনকোটি জেলাস্থিত ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকোয়া পার্কের।এছাড়াও রবীন্দ্র ভবন প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং রাজ্যের মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস এবং অন্যদের উপস্থিতিতে উদ্বোধন হয় ফিশ ফেস্টিভ্যালের। এ দিন মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উদ্বোধক এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব রঞ্জন সিং বলেন, বিগত দশ বছরে শুধু ত্রিপুরারই নয়, আর্থিক এবং সামাজিক বিকাশ ঘটেছে সারা ভারতের। দেশকে আত্মনির্ভর করতে দিন রাত কাজ করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে বিকশিত রাষ্ট্র এবং ২০২৯-এর মধ্যে বিশ্বের দরবারে আর্থিকভাবে অগ্রসর রাষ্ট্র হিসেবে স্থান দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে কেন্দ্র সরকার। দেশে স্থাপিত ১১টি ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকোয়া পার্কের মধ্যে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে ৪টি স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। ত্রিপুরায় মৎস্য পালনকে উৎসাহ দিতে বদ্ধপরিকর দপ্তর বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০১৯-শে মৎস্য মন্ত্রণালয়কে আলাদা করার পর ইতিমধ্যে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকার নিবেশ করা হয়েছে এই খাতে। যান দরুন মৎস্য উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে ভারত।২০১৩ সালে ৯৪ লক্ষ টন থেকে ১০ বছরে ১৮৪ লক্ষ টন মৎস্য উৎপাদন করা হচ্ছে দেশে। এদিকে মৎস্য রপ্তানিতে ১০ বছরে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণ।মৎস্য চাষিদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে অর্গানিক ফিশ ক্লাস্টারের মাধ্যমে মৎস্য চাষের উপর। তিনি আশা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার অধীন বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আগামীতে অন্যান্য রাজ্য থেকে ত্রিপুরায় মৎস্য আমদানির উপর নির্ভরযোগ্যতা কমিয়ে রাজ্য থেকে মাছ রপ্তানি হবে উত্তরপূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে। এছাড়াও এ দিনের অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য দপ্তরের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জর্জ কুরিয়ান, রাজ্যের মৎস্য, প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর এবং তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস, সমাজ কল্যাণ সমাজ শিক্ষা, শ্রম ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রী টিংকু রায়, বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার, কেন্দ্রীয় মৎস্য দপ্তরের সচিব অভিলাক্ষ লিখি, যুগ্ম সচিব সাগর মেহেরা, ন্যাশনাল ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের সিইও বিজয় কুমার বেহেরা, ডিরেক্টোরেট অফ ফিশারিজের সচিব কে শশী কুমার, রাজ্যের মৎস্য দপ্তরের অধিকর্তা নিরজ কুমার চঞ্চল সহ বিশিষ্টজনেরা। এ দিন রাজ্যের মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকোয়া পার্কের উদ্বোধনে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। এছাড়াও রাজ্যের মৎস্য চাষিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। তিনি আশা ব্যক্ত করেন, এই অ্যাকোয়া পার্কের সাহায্যে রাজ্য অতিসত্বর কাটিয়ে উঠবে মৎস্য ঘাটতি। এ দিন অনুষ্ঠানে এছাড়াও কিষান ক্রেডিট কার্ড বিতরণ করা হয় মৎস্য পালক বেনিফিসিয়ারিজ, বিভিন্ন মৎস্যজীবী এবং উদ্যোগীদের মধ্যে। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন এনএফডিবির চিফ এগজিকিউটিভ ড. বিজয় কুমার বেহেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *