মহিলা প্রমোটারকে তিন বছর কারাদন্ড দিল ভোক্তা আদালত!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রমোটারের প্রতারণার মামলায় দৃষ্টান্তমূলক রায় ঘোষণা করলেন পশ্চিম জেলার ভোক্তা আদালতের বিচারক গৌতম সরকার।
অভিযুক্ত মহিলা প্রমোটারকে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ডের সঙ্গে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জানা গেছে, টাকা নিয়েও ফ্ল্যাট দেওয়া হয়নি। ফেরত দেওয়া হয়নি টাকাও। সোমবার ভোক্তা আদালতের বিচারক গৌতম সরকার এই ঘটনায় সাজা ঘোষণা করেন। রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকে বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন, অভিযুক্ত প্রমোটারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করতে। যেন তাকে বিশালগড়ে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগাড়ে পাঠানো যায় সাজা পাওয়ার জন্য। অভিযুক্ত মহিলা প্রমোটারের নাম নিবেদিতা বৈদ্য।তার বাড়ি ধলেশ্বর আট নম্বর রোডে। এই মহিলার হয়ে সমরেশ বৈদ্য নামে এক ব্যক্তি প্রমোটারের ব্যবসা দেখেন বলে অভিযোগ। তিনিই পশ্চিম জেলা ভোক্তা আদালতে মামলা চলাকালীন এসেছিলেন। ভোক্তা আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৮ অক্টোবর আগরতলা জয়নগরের বাসিন্দা নারায়ণ চন্দ্র দাস বড়দোয়ালীতে একটি ফ্ল্যাটের জন্য নিবেদিতা বৈদ্যর সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন। চুক্তি অনুযায়ী অ্যাপার্টমেন্টের তৃতীয় তলায় ফ্ল্যাট দেওয়া হবে।
এজন্য ১৮ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৭ সালে প্রথম ইনস্টলমেন্ট অনুযায়ী নিবেদিতাকে প্রথমে ৩ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পরে ২০১৭ সালেই আবার দুই লক্ষ টাকা দেন সুমরেশবাবু। যথারীতি কাজও শুরু হয় বিল্ডিং তৈরির। পরের বছর কাজ বন্ধ হয়ে যায়।কিন্তু নারায়ণ চন্দ্র দাসকে ইনস্টলমেন্টের টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে পশ্চিম জেলা ভোক্তা আদালতে মামলা হয়। ২০১৯ সালে আদালত ইনস্টলমেন্টের টাকা ক্ষতিপূরণ সহ মিটিয়ে দিতে নিবেদিতা বৈদ্যকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু এই টাকা ফিরিয়ে দেননি তিনি। এই ঘটনায় নারায়ণবাবু ভোক্তা আদালতে এগজিকিউশন পিটিশন দাখিল করেন। সোমবার এই মামলায় রায় ঘোষণা করেন বিচারক গৌতম সরকার। তিনি কনিজিউমারস প্রটেকশন অ্যাক্ট ২০১৯-এর ৭২ ধারা অনুযায়ী নিবেদিতা বৈদ্যের সাজা ঘোষণা করেন। তাকে তিন বছর বিনাশ্রম কারাদন্ডের সাজা দেন বিচারক। একই সঙ্গে এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয় অভিযুক্তকে। এই টাকা না দিলে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড?।এই ধরনের প্রতারণার ঘটনা কিন্তু রাজ্যে প্রায়ই শোনা যাচ্ছে।