মধ্যপ্রদেশে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ মাওবাদী নেত্রী সুনীতা, মাথার দাম ছিল ১৪ লক্ষ!
মণিপুরে সিপিএম প্রতিনিধি দল।
অনলাইন প্রতিনিধি :- সিপিএম | সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির নেতৃত্বে মণিপুর পরিদর্শনে গেছে বাম প্রতিনিধি দল। শুক্রবারের পর শনিবারও মণিপুরের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন সিপিএম কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আজ সারাদিন ইম্ফল শহর এবং তার আশপাশ ঘুরে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, বিশিষ্ট ব্যক্তি, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক ১০টি রাজনৈতিক দলের যৌথ মঞ্চের সাথে মতবিনিময় করে বামেরা। সিপিএম প্রতিনিধি দলের পক্ষে সীতারাম ইয়েচুরি সাংবাদিকদের জানান, আমরা মণিপুরের জনগণের পাশে ছিলাম এবং থাকব। মণিপুরে শান্তি ফেরানোর জন্য যা যা করা সম্ভব তা করব। তিনি দেশবাসীকে মণিপুরের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানান।এদিকে এদিন সন্ধ্যায় ইম্ফল শহরের খুম্মাম লাম্পাক স্টেডিয়ামে একটি শিবিরও পরিদর্শন করেন।
ইউনাইটেড নাগা কাউন্সিল, অল মণিপুর ক্লাবস ইউনাইটেড অর্গানাইজেশন, ফেডারেশন অব সিভিল সোসাইটিস, আর্চ বিশপ অব মণিপুর এবং এসটি ডিমাণ্ড কমিটিস অব মণিপুর সহ দশটি রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইবোবি সিং সহ আরও বেশ কয়েকজন প্রাক্তন সাংসদ ও প্রাক্তন মন্ত্রী এবং বর্তমান বিধায়করা উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেস, সিপিআই, জনতা দল (ইউনাইটেড), আম আদমি পার্টির রাজ্য স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী জানান রাজনৈতিক দলসমূহের নেতৃত্ব এবং নাগরিক সমিতি সমূহের সঙ্গে আলোচনায় একটি বিষয় প্রমাণিত। তা হলো আরএসএস এবং বিজেপি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারণেই আজ মণিপুর জ্বলছে। মণিপুরে শাস্তি ফেরানোর জন্য কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি দেশের শাসক দল-সরকার। মণিপুরে ৬০ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকলেও তাদের সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না। তাই মণিপুরে শান্তি ফেরানোর জন্য সমস্ত প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানান মণিপুর পরিদর্শনে থাকা শ্রী চৌধুরী। এদিকে সিপিএম প্রতিনিধি দল রবিবার আরও কয়েকটি সংগঠন ও সাধারণ মানুষের সাথে মতবিনিময় করবেন বলে খবর।