September 7, 2025

ভোজ্যতেল অগ্নিমূল্যেই,নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের জিএসটি উঠছে!!

 ভোজ্যতেল অগ্নিমূল্যেই,নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের জিএসটি উঠছে!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বাজারে অগ্নিমূল্যে ভোজ্যতেল ও চিনির উপর কেন্দ্রীয় সরকার বিক্রয় কর তথা জিএসটি কমায়নি। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্য কয়েকটি আইটেমের উপর কোনটার জিএসটি কমিয়ে শূন্যে নিয়ে আসা হচ্ছে, আবার কোন আইটেমের উপর।জিএসটি কিছুটা কমানো হয়েছে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন ধার্য করা জিএসটির হার চালু হবে বাজারে। রাজ্যের প্রধান পাইকারি বজার আগরতলা মহারাজগঞ্জ বাজারে ব্যবসায়ীদের দাবি ২২সেপ্টেম্বর থেকে জিএসটি কমায় বাজারে সেই সব
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য অনেকটা কমে যাবে। তবে মহারাজগঞ্জ বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা এই দাবি করলেও খুচরো বাজারে আদৌ মূল্য কমার প্রভাব পড়বে কিনা তা নিয়ে এখনও সংশয়ে রয়েছে ভোক্তাসাধারণ। ক্রেতাসাধারণের পূর্বের অভিজ্ঞতা হলো বহিঃরাজ্যে কোন সময় কোন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য কোন কারণে যে দিন বৃদ্ধি পায় সেই খবরে রাতারাতি খুব দ্রুত মহারাজগঞ্জ বাজার সহ রাজ্যের সব বাজারেই তখন সেই অজুহাতে বিনা বাধায় নির্বিবাদে ব্যবসায়ীরা আগের কেনা মজুত জিনিসপত্রের মূল্য লাগামছাড়া বৃদ্ধি করে দেয়।ক্রেতাসাধারণের এই
অভিজ্ঞতা দীর্ঘদিনের।তাই কেন্দ্রীয় সরকার ২২ সেপ্টেম্বর থেকে যে সব
জিনিসপত্রের মূল্যের উপর জিএসটি কমাচ্ছে, বাজারে মূল্যের উপর তার বাস্তব প্রভাব পড়বে কিনা তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। রাজ্য সরকার, প্রশাসন ও খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তর যদি সেই দিকে কড়া নজরদারি না রাখে তা হলে জিএসটি কমানোর প্রভাব সঠিক ভাবে বাস্তবায়িত হবে না বলে বিভিন্ন মহলের আশঙ্কা। তবে রাজ্য প্রশাসনের এক আধিকারিকের দাবি জিএসটিতে মূল্য কমায় তার সঠিক বাস্তবায়ন ও মূল্য কমার প্রভাব যাতে বাজারে পড়ে সেই দিকে প্রশাসন, খাদ্য দপ্তর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ নেবে, যাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা ক্রেতাসাধারণের পকেট কাটতে না পারে। বাজারে যে সব প্যাকেটজাত জিনিসের উপর জিএসটি কমানো হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে গুঁড়া দুধ (মিল্ক) ও পনির। এই দু’টি জিনিসের উপর জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য নিয়ে আসা হয়েছে। গুড়া দুধ ও পণিরের উপর আর কোন জিএসটি থাকবে না। স্বাভাবিক কারণে বাজারে মূল্য অনেকটাই কমবে। শুধু প্যাকেট জাতীয় ওড়া দুধ ও পনিরের উপর যে জিএসটি কমানো হয়েছে তাই নয়, প্যাকেটজাত বাটার ও ঘি’র উপর থেকেও জিএসটি উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। ১২ শতাংশ জিএসটি থেকে শূন্যে নিয়ে আসা হয়েছে। ফলে বাজারে পেকেটজাত বাটার ও ঘি’র মূল্যও অনেকটা কমছে। পেকেটজাত সব মশর উপরও জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নিয়ে আসা হয়েছে। জিরা, হলুদ, মরিচ, ধনে সহ সব ধরনের মশলার উপরই জিএসটি ৭ শতাংশ কমানো হয়েছে। ফলে বাজারে প্যাকেটজাত সব ধরনের রান্নার মশলার মূলও অনেকটা কমবে। সব ধরনের সাবান, স্যাম্পু, শেভিংক্রিম, টুথ পেস্ট, টুথ ব্রাশের উপর ও জিএসটি উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে এই সব জিনিসের উপর ১২ শতাংশ জিএসটি নেওয়া হতো। এখন জিএসটির উঠিয়ে নেওয়ায় বাজারে বিক্রয়ে কোন বিক্রয়কর নেওয়া হবে না। ফলে বাজারে এই সব জিনিসের মূল্যও অনেকটা কমবে। আগমী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে বাজারে তা কার্যকর হবে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মধ্যে চালু থাকা সব ধরনের সরিষার তেল ও চিনির উপর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি উঠিয়ে নেয়নি, বা কমায়নি। আগের মতোই ভোজ্যলে ও চিনির উপর ৫ শতাংশ জিএসটি চালু রেখেছে। ফলে ভোজ্যতেল ও চিনির অগ্নিমূল্য বাজারে কমার কোন লক্ষন নেই। বাজারে গত তিন মাস ধরে যে ভাবে লাগামছাড়া ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে তাতে আমজনতার নাভিশ্বাস উঠেছে। কেন বাজারে তিন মাসে দফায় দফায় লাগামছড়া ভোজ্যতেল, আটা, চাল, মসুর ডাল সহ কয়েকটি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তা নিয়ে প্রশাসন রহস্যজনকভাবে নীরব ও উদাসীন। অভিযোগ নানা পুজোর মুখে বাজারে লাগামছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় এইসব জিনিসপত্রের মূল্য কেন বৃদ্ধি পেয়েছে ও পাচ্ছে তা নিয়ে ও মূল্যবৃদ্ধি রোধে ও মূল্য কমাতে রাজ্য প্রশাসন ও খাদ্য দপ্তরের ভূমিকায় ক্রেতাসাধারণের ক্ষোভবাড়ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *