August 23, 2025

“ভিশন ডকুমেন্ট-২০৪৭” প্রকাশিত, উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করাই মূল লক্ষ্য: মুখ্যমন্ত্রী!!

 “ভিশন ডকুমেন্ট-২০৪৭” প্রকাশিত, উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করাই মূল লক্ষ্য: মুখ্যমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- একেবারে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার পুরো ছক তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী। কার্যত ২০৪৭সালের মধ্যে উন্নত ও শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়া, বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যে আগরতলার প্রজ্ঞা ভবন থেকে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা প্রকাশ করলেন ‘বিকশিত ত্রিপুরা-২০৪৭’ নামাঙ্কিত এক ভিশন ডকুমেন্ট। বিশেষ করে অর্থনীতিকে মজবুত করা, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করা, জিডিপি বৃদ্ধি সহ একাধিক প্যারামিটারে রাজ্যকে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিশায় এগিয়ে নিয়ে যেতেই এই ডকুমেন্ট।এতে রয়েছে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ।ডকুমেন্ট প্রকাশ করে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এ কথা বলেন।আয়োজিত।এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ডকুমেন্ট প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিশায় সাধারণ মানুষের অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ, সমৃদ্ধ এবং সুস্বাস্থ্যসম্মত ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করাই এই ভিশন ডকুমেন্টের মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ ভিশনকে সামনে রেখে রাজ্যে ১২৪ মিলিয়ন ডলার অর্থনীতির লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে সকলেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি থেকে শুরু করে পর্যটন, আইটি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও রাজ্যের বিশেষ সাফল্যের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।


তিনি বলেন, ২০৪৭ সালে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্ণ হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সময়কালের মধ্যে গোটা দেশকে একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য বিকশিত ভারত-২০৪৭ কর্মসূচির সূচনা করেন। কর্মসূচিতে দেশের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন এবং টেকসই জীবনমান নিশ্চিত করাই প্রধান লক্ষ্য। অনুষ্ঠানে ‘বিকশিত ত্রিপুরা-২০৪৭’ সম্পর্কিত একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা এখন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে প্রথম রাজ্য। উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে হলে রাজ্য সরকারের লক্ষ্য হলো উন্নত ও শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠন করা। যেখানে থাকবে সাধারণ নাগরিকদের জন্য সমৃদ্ধ, নিরাপদ, সুস্বাস্থ্যসম্মত ভবিষ্যৎ। যা প্রকৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতবর্ষে অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির ক্ষেত্রে ত্রিপুরা রাজ্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে আছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিশা নির্দেশে রাজ্য সরকারও কৃষক, মহিলা, যুবা এবং দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের উন্নয়নে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছে। বিকশিত ভারত কিংবা বিকশিত ত্রিপুরা গঠনের মূল উৎস হলো স্বনির্ভরতা।


এক্ষেত্রে স্থানীয় সামগ্রীর সর্বাধিক ব্যবহার, উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা, নাগরিক জীবনের সুসংহতকরণ ও স্বশক্তিকরণের উপর সর্বাধিক জোর দিতে হবে। তিনি রাজ্যে কৃষকদের ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য সেবার অগ্রগতি, ডিজিটাল প্রশাসন এবং শিল্পোন্নয়নের ক্ষেত্রেও ব্যাপক সাফল্য এসেছে বলে মনে করেন। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যা নতুন মানদণ্ড স্থাপন করছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন রাজ্যের প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন বাঁশ, রাবার এবং বনজ সম্পদের সদ্ব্যবহারের উপরও অধিক গুরুত্ব দেন। হাজার হাজার মানুষ এই শিল্পকে ব্যবহার করে জীবিকা নিশ্চিত করেছে বলে তিনি জানান। অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘বিকশিত ত্রিপুরা-২০৪৭’ ডকুমেন্টের মাধ্যমে রাজ্যের নাগরিকদের জীবনমানের কৌশলগত পরিবর্তন সুনিশ্চিত হবে। এর মূল লক্ষ্য হলো দরিদ্র মুক্ত রাজ্য গঠন, উচ্চমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা, উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা সহ নাগরিক পরিষেবার মৌলিক বিষয়গুলি সুনিশ্চিত করা। মুখ্যসচিব জে কে সিনহা বলেন, গত কয়েক বছরে রাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেশের অন্যান্য বড় রাজ্যের তুলনায়ও বেশি। এদিন আলোচনা করেন নীতি আয়োগের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর রাজীব কুমার সেন, পরিকল্পনা দপ্তরের সচিব এল টি ডার্লং-ও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *