ভারতের পণ্যে শুল্ক, পুতিন-জ়েলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের ইঙ্গিত! রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় ট্রাম্পের নতুন চাল?

অনলাইন প্রতিনিধি :-ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০% শুল্ক বসিয়ে এবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ‘গ্লোবাল ব্রোকার’ হয়ে উঠতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা যাচ্ছে, পুতিনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়ে গেছে আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের। আর সেই সূত্রেই ফের সরব ট্রাম্প—এই প্রথম তিনি সরাসরি জানিয়েছেন, শীঘ্রই ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
ভারত থেকে আমেরিকায় রফতানি হওয়া পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় ‘ইতিবাচক অগ্রগতি’ হয়েছে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। যদিও তিনি স্বীকার করেছেন, এই শুল্কই আলোচনার সাফল্যের কারণ কিনা, তা নিশ্চিত নন।একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ট্রাম্প লেখেন,“আমরা ভারতের উপর ৫০% শুল্ক বসিয়েছি। জানি না, সেটাই কারণ কি না, তবে আজ রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের আলোচনা খুবই সফল হয়েছে।”
ভারতের প্রতিক্রিয়া: ‘পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ’নয়াদিল্লি এই শুল্কের সিদ্ধান্তে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। বিদেশ মন্ত্রক কড়া বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাতীয় স্বার্থে পদক্ষেপ নেওয়া প্রতিটি দেশের অধিকার—তবু কেবলমাত্র ভারতকে টার্গেট করে শুল্ক বসানো ‘দুর্ভাগ্যজনক’।সূত্র বলছে, এই বিষয়ে আমেরিকার সঙ্গে প্রতিরোধমূলক আলোচনাও শুরু করেছে ভারত।পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও সম্প্রতি বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। তাঁর প্রশাসনের অভ্যন্তরেও চলছে রাশিয়ার সঙ্গে একটি ‘ডিল’ করার চেষ্টা।উল্লেখযোগ্যভাবে, ট্রাম্প যখন ভারতকে শাস্তি দিচ্ছেন রাশিয়া থেকে তেল ও অস্ত্র কেনার জন্য, তখন প্রশ্ন উঠেছে—চিন কিংবা অন্যান্য দেশ যারা একই কাজ করছে, তারা কি ছাড় পাবে?এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন,“হতেই পারে তাদের উপরেও শুল্ক বসবে। এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলছি না, তবে সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের পরে হয়তো অন্যদের পালা। চিনও তার মধ্যে থাকতে পারে।”ট্রাম্পের হঠাৎ এই ‘শান্তিদূতের’ ভূমিকায় অবতরণ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। কেউ বলছেন কৌশলী রাজনীতি, কেউ বলছেন নির্বাচনের আগে বিশ্বমঞ্চে নিজের শক্তি দেখানোর চেষ্টা। তবে এটাও পরিষ্কার, ভারত-মার্কিন সম্পর্ক এক জটিল মোড়ে পৌঁছেছে—আর সেই চাপেই সম্ভবত রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতেও দৃষ্টিভঙ্গি বদলাচ্ছে হোয়াইট হাউস।এই পরিস্থিতিতে পুতিন এবং জ়েলেনস্কির সঙ্গে আসন্ন বৈঠক কেবল যুদ্ধ বন্ধ নয়, গোটা বিশ্ব কূটনীতির গতিপথই বদলে দিতে পারে