ভারতের উপজাতীয় ভাষার অনুবাদ করবে এআই ‘আদিবাণী’!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-দেশে এই প্রথমবার।কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন উপজাতি ভাষা বোঝার জন্য তৈরি হল অ্যাপ। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রকের উদ্যোগেই এই নতুন অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। অ্যাপটির নাম ‘আদিবাণী’। ইতিমধ্যে অ্যাপটির প্রাথমিক সংস্করণ অ্যানড্রয়েড প্লেস্টোরে এসে গিয়েছে।দিন কয়েকের মধ্যে চলে আসবে অ্যাপেলের অ্যাপ স্টোরেও।
কিন্তু এই নতুন অ্যাপে কী সুবিধা হবে? উপজাতি ভাষার ক্ষেত্রেই বা কোনও উন্নয়ন দেখা যাবে কি?ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এই নতুন অ্যাপ উপজাতি-জনজাতিদের সঙ্গে দেশের অন্য জাতির মানুষের মধ্যে একটি সম্পর্কের সেতু তৈরি করবে পারবে।বছর বছর ধরে যে দূরত্ব ভাষার জন্য গড়ে উঠেছিল তার বেড়াজাল ভাঙবে এই অ্যাপ। বর্তমানে দেশে মোট ৭১টি এমন জেলা রয়েছে, যেখানকার মানুষদের ভমাতৃভাষা কোনও না কোনও উপজাতি বা জনজাতি ভাষা। আরও একটি পরিসংখ্যা বলছে, গোটা দেশজুড়ে প্রায় ৪৬১টি উপজাতি ভাষার প্রচলন রয়েছে। যার মধ্য আবার ৪২টি উপজাতি ভাষার অবস্থা সঙ্গীন অর্থাৎ সেই ভাষা আজ বিলুপ্তির পথে। ‘আদিবাণী’ ঠিক সেই সমস্যাটারই সমাধান করবে।এই হারিয়ে যাওয়া ভাষাগুলিকে নিয়ে আসবে এক ছাদের তলায়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের মাধ্যমে সাধারণের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলবে ‘দূরে’ থাকা জনজাতির ভাষাগুলিকে। সূত্রের খবর, এই অ্যাপ তৈরির কাজে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে দেশের একাধিক আইআইটি। দিল্লি, হায়দরাবাদ ও নব রায়পুরের আইআইটি’র ট্রাইবাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই অ্যাপটি তৈরি করেছে। যেখানে প্রাথমিকভাবে সাঁওতালি, ভিলি, মুন্ডারি, গন্ডি-সহ বেশ কয়েকটি ভাষাকে যুক্ত করা হয়েছে।আগামী দিনে এই ভাষার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলেই কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে। এছাড়া এই অ্যাপটির সাহায্যে আদিবাসী ভাষার পাণ্ডুলিপি ও মৌখিক ভাষাকে ডিজিট্যালাইজ করার জন্য টেক্সট-টু-স্পিচ, স্পিচ-টু-টেক্সট এবং অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিকগনিশন বা ওসিআর বৈশিষ্ট্যও সরবরাহ করা হবে।
মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই অ্যাপটি সরকারি প্রকল্প, সিকল সেল রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরামর্শ এবং উপজাতীয় ভাষায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতাকে তর্জমা করে সচেতনতা তৈরি করতেও ব্যবহার করা হবে।
মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে এই প্রকল্পের লক্ষ্য আদিবাসী সমাজের কাহিনীকে ডিজিট্যালাইজড করা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা, উপজাতি অঞ্চলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার খবর প্রচার করা এবং স্থানীয় ভাষায় শেষ মাইল পর্যন্ত জনসেবা সরবরাহ নিশ্চিত করা।