বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনে পরীক্ষামূলক চালু হল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস!!

অনলাইন প্রতিনিধি:- ত্রিপুরা ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে এক নয়া পালক যুক্ত হয়েছে। বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনে দূর পাল্লার যাত্রী ট্রেন শুরু হয়েছে। শুক্রবার ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ছয়টা। আগরতলা রেল স্টেশন থেকে বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনে যাত্রা শুরু করে জনশতাব্দী এক্সপ্রেস। বিদ্যুৎ চালিত ইঞ্জিন নিয়ে ট্রেনটি পাড়ি দেন অরুণাচল জংশন স্টেশনের উদ্দেশে। একই দিনে বিকালে জনশতাব্দী এক্সপ্রেস আসামের কাছাড় জেলার অরুণাচল জংশন স্টেশন থেকে শুক্রবার এক রেল আধিকারিকরা আগরতলার উদ্দেশে যাত্রা করে। জানান, আগরতলা থেকে যাত্রী ট্রেন বিদ্যুৎ চালিত ইঞ্জিনে চলাচল শুরু হয়েছে। তিনি জানান, ধাপে ধাপে সব কয়টি ট্রেন ও মালগাড়ি বৈদ্যুতিক ট্রেনে চলাচল করবে। এই বিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হয় উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিঙ বিভাগের প্রধান, ডি আরএম সমীর লোহানির সঙ্গে। তিনি জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রিপুরায় বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনে ট্রেন চলাচল শুরু হবে কিছুদিন পর। মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার হাত ধরে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আপাতত ধাপে ধাপে পরীক্ষা মূলকভাবে বিভিন্ন ট্রেন বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনে চলাচল করবে। জনশতাব্দী এক্সপ্রেস তিন দিন পালা করে একদিন বৈদ্যুতিক এবং এক দিন ডিজেল ইঞ্জিনে চলাচল করবে। এই ভাবে ত্রিপুরা সহ আসামের বদরপুর শাখার নয়া বৈদ্যুতিক রেলপথ পরীক্ষা করা হবে। কোথাও রেলপথের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থায় কোনও ত্রুটি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। তিনি জানান এখনও আসামের বরাইল পাহাড় ঘেরা পাহাড়ি রেলপথ হিসাবে পরিচিত অংশে বিদ্যুত চালিত ইঞ্জিনে ট্রেন চলাচল শুরু হবে না। কেন না এই অংশের রেলপথে বৈদ্যুতিককরণে কাজ শেষ হয়নি।