August 3, 2025

বেহাল জাতীয় সড়ক, চরমে উঠেছে দুর্ভোগ!!

 বেহাল জাতীয় সড়ক, চরমে উঠেছে দুর্ভোগ!!

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি,আমবাসা।। বর্তমানে বেহাল অবস্থায় পর্যবসিত হয়েছে লংতরাই এবং আঠারোমোড়া এলাকার জাতীয় সড়কের ব্যাপক অংশ। বিশেষ করে অল্প বৃষ্টিতেই নাজেহাল অবস্থা দুটি পাহাড় এলাকার জাতীয় সড়কের। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস ধরে লংতরাই এবং আঠারোমুড়া এলাকার বেশ কিছু অংশ কার্যত বেহাল হয়ে রয়েছে। আঠারোমোড়ার মুঙ্গীয়াবাড়ী থেকে আমবাসা মহকুমার জিয়লছড়া পর্যন্ত বেশ কিছু অংশ সামান্য বৃষ্টিতেই বেহাল হয়ে পড়ছে। তেমনি লংতরাই এলাকার বেশ কিছু স্থানে যানবাহন চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে।

প্রায় প্রতিদিন দুটি অংশেই মালবাহী গাড়ি উল্টে যাচ্ছে। বিশেষ করে লংতরাইয়ের শ্রীনিবাস পাড়া,ঘাগড়াছড়া এলাকায়। আঠারোমোড়া এলাকার জাতীয় সড়কের উন্নয়নে নীতিন সাই নামক সংস্থা কাজ করলেও কাজের গতি অত্যন্ত কম এবং নিম্ন মানের। বেশ কয়েকটি স্থানে নির্মিত আরসিসি দেওয়াল ভেঙ্গে পড়েছে।অনেকাংশেই বিশাল বিশাল দেয়ালে ফাটল ধরেছে। যা নিয়ে রাস্তা ধরে চলাচলকারি যাত্রীদের বক্তব্য,কাজের তদারকি করছে কে?সঠিকভাবে জাতীয় সড়কের কাজের তদারকি না হওয়াতেই অল্পদিনের মধ্যেই যেমন রাস্তার পাশের দেয়ালে ফাটল ধরেছে,আরসিসি দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। তেমনি শেষ হয়ে যাওয়া কার্পেটিং রাস্তাও নষ্ট হয়ে পড়েছে। ফলে অনেকেই নিম্নমানের কাজ হচ্ছে বলে আওয়াজ তুলছেন।

এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন হলো, কবে নাগাদ শেষ হবে আঠারোমোড়া এলাকার জাতীয় সড়কের কাজ? জানতে চাইছেন যাত্রী সাধারন। অপরদিকে লংতরাই এলাকার কাজ করতে গেলে বাধাপ্রাপ্ত হতে হচ্ছে শ্রমিকরা। লংতরাই এলাকায় জাতীয় সড়কের ওপর বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়ে আছে। সেগুলি সারাইয়ের জন্য শ্রমিক সমেত পাথর বিটুমিন পাঠালেও, ওই এলাকার একাংশ যুবক প্রতিনিয়ত বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বাঁধা দানের কারণ,গাড়ি আটকে পড়লে বা দুর্ঘটনা ঘটলেই ওই এলাকার যুবকরা রাতের পাহারা সহ মালপত্র ওঠানো-নামানো বাবদ ভালো পরিমাণ টাকা পেয়ে যাচ্ছে কাজের বিনিময়ে। রাস্তা সারাই হয়ে গেলে সেই অর্থ হাতে আসবে না। তাই বাঁধাদান। বর্তমানে যা চলছে লংতরাই এলাকার জাতীয় সড়কে,তা দিনের পর দিন চলতে পারে না। গাড়ি চালকরা চাইছে সরকার যেন অতিসত্বর বিষয়টি নজরে নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সেই সাথে রাস্তা সারাই এর উদ্যোগ নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *