উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ ভূমিধসে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সুড়ঙ্গে বন্দি ১৯ কর্মী!!
বেগুনি রঙের কাঁকড়া: পৃথিবীর জীবভান্ডারে যুক্ত হল নতুন ‘রত্ন’!

অনলাইন প্রতিনিধি :-থাইল্যান্ডের কায়েং ক্রাচান জাতীয় উদ্যানে সম্প্রতি একটি বিরল বেগুনি কাঁকড়ার প্রজাতি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা বিশ্বজুড়ে বন্যপ্রাণী প্রেমী এবং গবেষক উভয়কেই অবাক করে দিয়েছে। এই কাঁকড়া শুধু বিরল নয়, তার আকর্ষণীয় চেহারা তুলে ধরে ‘প্রকৃতির মূল্যবান উপহার’ হিসাবে। সিরিনডহর্ন কাঁকড়া বা ‘রাজকুমারী কাঁকড়া’ নামে অর্থোপোডা শ্রেণির এই প্রাণী মূলত জলপ্রপাত অঞ্চলেই বসবাস করে বলে জানিয়েছেন জীববিজ্ঞানীরা। উজ্জ্বল বেগুনি এবং সাদা রঙের এক অসাধারণ সংমিশ্রণ তাকে মোহময়ী করে তুলেছে। পান্ডা কাঁকড়া পরিবারের অন্তর্গত, বেগুনি রূপটি অত্যন্ত বিরল। এই প্রজাতিটি প্রথম নথিভুক্ত হওয়ার পর এইরূপ কাঁকড়া খুব কম দেখা গিয়েছে।
জীববিজ্ঞানীদের দাবি,এটি বাস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূণ সূচক হিসাবে কাজ করবে। এই বিরল প্রজাতির কাঁকড়ার খোঁজ পাওয়া পরেই থাইল্যান্ডের কায়েং ক্রাচান জাতীয় উদ্যানকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের নির্মল পরিবেশ বলেও বর্ণনা করেছে। ইউনেস্কোর তরফে বলা হয়েছে, ‘সবুজ অরণ্যের ব্যাকড্রপে এই উজ্জ্বল বেগুনি রং এতই বিরল যে একবার দেখে মনে হতে পারে চলমান কোনও উজ্জ্বল রত্ন।’
পূর্ণবয়স্ক কাঁকড়ার খোলস মাত্র এক ইঞ্চি চওড়া। জীববিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই কাঁকড়া আসলে পান্ডা ক্র্যাব বা লেপিডোথেলফিউসা কগনেটি-র জাতভাই। এই পান্ডা ক্র্যাব জল এবং স্থল উভয় স্থানেই বসবাস করে।কিন্তু সেগুলির রং হয় সাদা-কালো।প্রসঙ্গত, পান্ডা ক্র্যাব অত্যন্ত বিরল।১৯৮০ সালে
প্রথম থাইল্যান্ডে এই ধরনের কাঁকড়া আবিষ্কৃত হয়। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই নতুন আবিষ্কৃত কাঁকড়ার জীবনচক্রের সম্বন্ধে প্রায় কিছুই জানা যায়নি এখনও। কায়েং ক্রাচেং জাতীয় উদ্যান ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটগুলির মধ্যে অন্যতম। এই নিরক্ষীয় বনাঞ্চলে চিতাবাঘ থেকে ভাল্লুক, কাঁকড়া থেকে শঙ্খচূড় সাপ – বিপুল পরিমাণ জীববৈচিত্র্য দেখতে পাওয়া যায়।
তার মধ্যে নবতম সংযোজন এই বিরল বেগুনি কাঁকড়া। উদ্যান কর্তৃপক্ষের দাবি, একটি নতুন জীব আবিষ্কার উদ্যানের বৈচিত্র্যময় পরিবেশকেই নতুন করে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরল। ভবিষ্যতে এই উদ্যান এবং তার জীববৈচিত্র্যকে ধরে রাখার জন্য সরকার আরও উদ্যোগী হবে বলেও দাবি করা হয়েছে।