রঞ্জিতবাবু জেনেভা গিয়েছিলেন,কোন দেশের পাসপোর্টে? জানতে চায় ত্রিপুরাবাসী!!
বিহারে এবার টিকে থাকার লড়াই বামেদের!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-আর পাঁচটা রাজনৈতিক দলের মতো ঝাঁ চকচকে কর্পোরেট ভবন নয়। জামাল রোডে সিপিএম রাজ্য অফিস একদম সাদামাটা। আর ভোট আসতেই সেই ভবনের তিনতলায় দলের রাজ্য অফিসে ব্যস্ততা তুঙ্গে। কারণ এবার যেন টিকে থাকার লড়াইয়ে নামতে হচ্ছে বামেদের।
অথচ এক সময় এই বিহারের একটা অংশে বামেদের ভোটব্যাঙ্ক ছিল বেশ মজবুত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ছবি বদলেছে। শক্ত ঘাঁটি আজ বেশ দুর্বল। ভোটব্যাঙ্কে ধস নেমেছে। সেই ক্ষত মেরামত করা এখন লক্ষ্য বামেদের। আর সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে রাজ্য স্তরের সব নেতা এখন ভোটের প্রচারে। জামাল রোডের অফিসে পাওয়া গেল দলের রাজ্য কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য অশোক কুমার মিশ্রকে।প্রশ্ন করতেই দাবি করলেন, এবার যে চার আসনে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম সেই সব আসনে জয় নিশ্চিত।
মহাগঠবন্ধনের সঙ্গে জোট করে যে চারটি আসনে সিপিএম এবার প্রার্থী দিয়েছে এর মধ্যে দু’টি আসনে আগেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছে তারা। এই দুটি আসন হল সমস্তিপুর জেলার বিভূতিপুর এবং সারন জেলার ছাপড়ায় অবস্থিত মানঝি। ২০২০ সালের নির্বাচনে এই দুই আসনে জয় পায় তারা। এবারও এই দুটি আসন ছাড়া দ্বারভাঙার হায়াঘাট এবং পূর্ব চম্পারণের পিপড়ায় প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। তাদের দাবি, চার আসনই এবার তাদের দখলে আসবে। অশোকবাবু বলেন, পিপড়া থকে আগেও একবার লড়ে আমাদের দল ৮০ হাজার ভোট পেয়েছে, সেবার জিততে পারিনি। এবার আমরাই জিতছি। নির্বাচনের প্রচারে আসছেন বাংলায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। প্রচারে আসতে পারেন বঙ্গ সিপিএমের অতিপরিচিত মুখ মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
রাজ্যের বর্তমান এনডিএ সরকারের আমলে গোটা বিহার অপরাধীদের কবলে চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ অশোকবাবুর। রাজ্যে দারিদ্র দূর হয়নি। কর্মসংস্থানের অভাব। রাজ্যের মহিলাদের দশ হাজার টাকা করে দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এনডিএ জোট তাকে কটাক্ষ করে এই বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা বলেন, আজ দুই দশক ধরে সরকারের প্রধান নীতীশ কুমার। কেন এতদিন তাহলে এই উদ্যোগ নেওয়া হল না? টাকা বাড়ানোর দাবিতে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, আশা কর্মীরা যখন আন্দোলন করেছিলেন তখন এই সরকারের পুলিশ তাদের ওপর লাঠি চালায়। এখনতো এসব ভোট কেনার চেষ্টা। যারা মহিলাদের সুরক্ষা দিতে পারে না তারা আবার নারী সশক্তিকরণের কথা বলছে! মহিলারা সব বুঝতে পারছেন। এসব করে কোনোও লাভ হবে না।
এবার মহাগঠবন্ধনের সরকার আসার বিষয়ে নিশ্চিত সিপিএম। কিন্তু এই চার আসনে তাদের ফল কী হয় সেটাই দেখার।