August 4, 2025

বিশ্বের নজরে এখন শ্রীহরিকোটা।

 বিশ্বের নজরে এখন শ্রীহরিকোটা।

ভারতের এই চন্দ্রযান-৩ অভিযানের দিকে নজর আমেরিকার। তারাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে এই চন্দ্রাভিযান শুরু হওয়ার। হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, চন্দ্রযান-৩ থেকে পাওয়া তথ্য ভবিষ্যতে চাঁদে মানুষকে পাঠানোর জন্য কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারত আর্টেমিস অ্যাকর্ডসে সই করেছে। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সমগ্র বিশ্বের মানুষের কাজে আসবে।’সম্প্রতি নাসার নেতৃত্বে আর্টেমিস অ্যাকর্ডে স্বাক্ষর করেছে ভারত। শান্তিপূর্ণ চন্দ্র অন্বেষণের প্রতিশ্রুতির বার্তা দেয় এই চুক্তি। চুক্তিটি দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার বার্তাকে আরও বেশি বাস্তবের রূপ দেবে। মহাকাশ মিশনে জ্ঞান ও দক্ষতাকে অন্য দেশের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার পথকে আরও চওড়া করে এই চুক্তি। আরও ২৬টি দেশের সঙ্গে ভারতও এই চুক্তির নতুন সদস্য। মহাকাশ গবেষণায় তথা চাঁদ, মঙ্গল ও অন্যান্য ক্ষেত্রেও শান্তিপূর্ণ, টেকশই এবং স্বচ্ছ সহযোগিতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে ভারত। ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন মিশনে একটি যৌথ প্রচেষ্টা চালু করার লক্ষ্য রয়েছে নাসার। সেই কারণে নাসা ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো মহাকাশচারীদের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান করবে।মনিপাল সেন্টার ফর ন্যাচারাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক ও ডিরেক্টর ড. পি. শ্রীকুমার আগে সরোতে মহাকাশ বিজ্ঞান প্রোগ্রাম অফিসের ডিরেক্টর ছিলেন। তিনি বললেন, ‘চাঁদে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদের ভাণ্ডার থাকতে পারে। কিন্তু সেটি এখনও সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিতভাবে চিহ্নিত করা যায়নি। সেগুলি অনেক দূরের বিষয়। কিন্তু বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে, মানবজাতির স্বার্থে সমস্ত দেশকে চাঁদে পরস্পরের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেই হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *