বিমানবন্দর নতুন টার্মিনাল ভবনে পোকামাকড়ের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ যাত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক নতুন টার্মিনাল ভবনের যত্রতত্র মশা, মাছি, আরশোলা ইঁদুর সহ নানা ধরনের পোকামাকড়ের উপদ্রবে বিমান যাত্রীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।বিমানবন্দরের অ্যারাভেল লাউঞ্জ,ডিপার্চার লাউঞ্জ, সিকিউরিটি লাউঞ্জ শৌচাগার সহ সব জায়গায় মারাত্মক পোকামাকড়ের উপদ্রবে বিমান যাত্রীরা প্রতিদিন প্রচণ্ড নাজেহাল হচ্ছেন। অথচ বিস্ময় ও পরিতাপের ব্যাপার হলো বিমানবন্দর অথরিটি সব কিছু জেনে শুনে দেখে আশ্চর্যভাবে উদাসীন ও নীরবতা পালন করছে বলে ক্ষুব্দ বিমান যাত্রীদের অভিযোগ। বিমানবন্দরে বিমানযাত্রীদের সুখ স্বাচ্ছন্দ্য ও সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়ার জন্য টিকিট কাটার সময় প্রতি বিমান যাত্রীর কাছ থেকে ১৩৬৫ টাকা প্যাসেঞ্জার সার্ভিস ফি (পিএসএফ) হিসাবে নেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু তারপরও বিমানবন্দর টার্মিনাল ভবনে মশা, মাছি, আরশোলা, ইঁদুর সহ নানা ধরনের মারাত্মক পোকামাকড়ের উপদ্রব বন্ধে কেন বিমানবন্দর অথরিটি কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছেন না তা নিয়ে বিমান যাত্রীরা প্রশ্ন তুলেছেন।
শুধু বিমান যাত্রীই নয়, বিমানবন্দরে কর্মরত সরকারী, বেসরকারী সংস্থা সহ বিমান সংস্থাগুলিও পোকামাকড় ইঁদুরের প্রচণ্ড বাড়বাড়ন্তে অতিষ্ঠ।জানা গেছে, সব বিমানবন্দর পেস্ট কন্ট্রোল করা বাধ্যতামূলক হলেও এমবিবি আগরতলা বিমানবন্দরে তা বিস্ময়জনকভাবেই মানা হচ্ছে না। পোস্ট কন্ট্রোলের স্পেশালাইজড সার্ভিস সংস্থা তথা দক্ষ ও অভিজ্ঞ সংস্থা দিয়ে আরশোলা, মশা, মাছি পোকামাড়র ইঁদুর ইত্যাদি নিধন ও নির্মূল করার জন্য বাধ্যতামূলক কঠোর
নিয়ম থাকলেও তা অমান্য করে চলেছে বিমানবন্দর অথরিটি।
যা শুধু বিস্ময়করই নয়, অপরাধের শামিল। বিমানবন্দরে পোস্টে কন্ট্রোল করার যে নিয়ম ও গাইডলাইন উল্লেখ রয়েছে তা হলো স্পেশালাইজড অর্থাৎ এই কাজে দক্ষ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সংস্থাকে দিয়ে ধারাবাহিক ও সুসংহতভাবে বিমানবন্দর যাত্রী টার্মিনালে কীটপতঙ্গ, মশা, মাছি, আরশোলা ইঁদুর ইত্যাদি নির্মূলও ধ্বংস করতে হবে। অভিযোেগ পরিতাপের ব্যাপার হলো বিমানবন্দর অথরিটি তার কোনটাই পালন করছে না। অমান্য করছে।
আর তার ফল ভুগ করছেন, মাশুল দিচ্ছেন অসহায় বিমানযাত্রীরা। প্যাসেঞ্জার সার্ভিস ফি বাবদ টিকিটে এত টাকা নিলেও বিমানবন্দরে পোকামাকড় ইঁদুরের উপদূর ও যন্ত্রণা থেকে যাত্রীরা মুক্তি পাচ্ছেন না বলেও যাত্রীরা সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন। পেস্ট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিমানবন্দরে যাত্রীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য গাইড লাইন ও নিয়ম থাকলেও তাও বিমানবন্দরে মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ।
তাতে বিমান যাত্রী সহ বিমানবন্দরে কর্মরত সকলেই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এই ব্যাপারে রাজ্য সরকার ও বিমানবন্দর অথরিটির এই কাজে চরম উদাসীনতায় কোন শব্দ করছে না বলেও অভিযোগ। জানা গেছে, আগে টার্মিনাল ভবনে পেস্ট কন্ট্রোলের কাজ হলেও গত এক বছরের বেশি সময় ধরে এই কাজ বন্ধ রয়েছে।
তাতেই এই বিপত্তি দেখা দিয়েছে। আগে দরপত্র আহ্বান করে বিমাবন্দর অথরিটি টার্মিনাল ভবনে পেস্ট কন্টোল করার জন্য দক্ষ ও অভিজ্ঞ সংস্থাকে এই কাজের দায়িত্ব দিত।কিন্তু আগের সংস্থার দরপত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর গত এক বছর ধরে নতুন করে আর কোন দরপত্র আহ্বান করেনি অথরিটি।আর তাতেই গত এক বছর
ধরে পেস্ট কন্ট্রোল না হওয়ায় পোকামাকড়, ইঁদুর ও নানা কীটপতঙ্গের উপদ্রবে অতিষ্ঠ বিমানযাত্রীরা।
প্রসঙ্গত তিন বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করলেও পেস্ট কন্ট্রোলের অভাবে টার্মিনাল ভবনে সমস্যা দেখা দিলেও সেই দিকে কারোর লক্ষ্য নেই।
এদিকে বিমানবন্দর অথরিটি কোন বিজ্ঞানসম্মত উপায় ছাড়াই নাম কাওয়াস্তে কোনভাবে জোড়াতালি দিয়ে সাফাই কর্মী দিয়ে পোকামাকড় তাড়ানোর জন্য ব্যবস্থা করছে বলে দাবি করছে এয়ারপোর্ট অথরিটি।পোকামাকড়ের বাড়বান্তের কথা মানতে রাজি নয় অথরিটি।