August 25, 2025

বিপ্লবের নিশানায় সিপিএম, নাম না করে ঠুকলেন জিতেনবাবুকে!!

 বিপ্লবের নিশানায় সিপিএম, নাম না করে ঠুকলেন জিতেনবাবুকে!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- রাজ্যে এসেই বিরোধী দল সিপিএম এবং নাম না করে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীকে নিশানা করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। রবিবার কুমারঘাটে আয়োজিত একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করে ভাষণ রাখতে গিয়ে সাংসদ শ্রী দেব বলেন, এই রাজ্যে সিপিএম দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছর রাজ করেছে। আর এই পঁয়ত্রিশ বছরে রাজ্যটার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। এরা দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছর ধরে রাজ্যের ছেলে মেয়েদের খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছিলো। ছেলেমেয়েদের যখন মাঠে খেলাধুলা করার কথা, তখন তাদের মিছিলে হাঁটিয়েছে।আর কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে, শুধু দিতে হবে, দিতে হবে বলে।এই রাজ্যের ছেলেমেয়েদের নেতিবাচক মনোভাব ও মানসিকতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। যুব সমাজের মধ্যে ইতিবাচক মানসিকতা তৈরি করার বদলে, পরনির্ভরশীল মানসিকতা তৈরি করে দিয়েছে। কমিউনিস্টরা কখনোই চায় না যুবসমাজ আত্মনির্ভর হোক। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে কিছু একটা করার মানসিকতা তৈরি হোক। ভাষণ রাখতে গিয়ে সাংসদ শ্রী দেব নাম না করে রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা এবং সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীকে নিশানা করে বলেন, বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে একটি ক্রীড়া সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। তখন ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক জিমনাস্টিক্স আসরে যোগ দেওয়ার জন্য কিছু জটিলতায় সিলেকশনের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন আমাদের রাজ্যের তথা গোটা ভারতের গর্ব সোনার মেয়ে দীপা কর্মকার। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সেই সময়ে তৎকালীন ক্রীড়া সংস্থার চেয়ারম্যান যিনি বর্তমান সিপিএম সম্পাদক, তার কোনো ভূমিকা বা প্রচেষ্টাই ছিলো না দীপাকে সেই সুযোগটি করে দেওয়ার।
এদিন, বিপ্লব কুমার দেব দাবি করেন, তিনি প্রদেশ বিজেপির সভাপতি থাকাকালীন সময়ে তার উদ্যোগে বিজেপি নেতৃত্বদের ও সর্বানন্দ সনোয়ালের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দীপা সে সময় আন্তর্জাতিক আসরে খেলার সুযোগ পেয়েছিলো। আর তার জন্যই দীপা তার যোগ্য প্রাপ্য সুযোগটি পেয়েছে। আর এই সুযোগ পেয়েছে বলেই দীপা আন্তর্জাতিক আসরে নিজেকে প্রমাণিত করে শুধুমাত্র রাজ্য নয় গোটা দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে। একের পর এক পদকে, সম্মানে দীপা আজ দেশের সোনার মেয়ে হয়ে উঠেছে। কিন্তু তৎকালীন সময়ে যাদের দায়িত্ব ছিলো দীপাকে সহায়তা করার তাদের কোনো ভূমিকাই ছিলো না। এরা বন্দুকের নলের মধ্যে সমস্ত শক্তির উৎসের নীতিতে বিশ্বাসী। মাওবাদীদের জন্য এদের প্রাণ কাঁদে। অথচ দেশের বীর সেনা, আধা সেনা জওয়ানদের জন্য এদের প্রাণ কাঁদে না। এরা দেশের সংবিধানের কথা বলে, অথচ এরা সংবিধানকে মান্যতা দেয় না। বিপ্লব বলেন, কমিউনিস্ট মানেই পার্মানেন্ট ইমার্জেন্সি পার্টি। গত ৩৫ বছর তারা ত্রিপুরাতে এই ধরনের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছিল। স্বামী বিবেকানন্দ যেখানে যুবদের খেলার মাঠে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন কিন্তু কমিউনিস্টরা তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ আদায়ের জন্য যুবসমাজকে মিছিলে হাঁটিয়ে লাইন লম্বা করেছে। যুবসমাজকে বিভ্রান্ত করে রাজনৈতিক ফায়দা আদায় করেছে। এরা কোনোদিন ত্রিপুরার এবং রাজ্যের মানুষের কল্যাণ চায়নি। সাংসদ শ্রী দেব বলেন, এই রাজ্যে ২০১৮ সালে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে প্রকৃত উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। মাঝে করোনো মহামারি না এলে আজ রাজ্য আরো অনেকটা এগিয়ে যেতো বলে দাবি করেন সাংসদ শ্রী দেব। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত আজ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *