বিজেপি সরকার থাকলে ধান ক্রয় অব্যাহত থাকবে: সুশান্ত!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-দূরে নয়, কৃষকদের দ্বারে রয়েছে বর্তমান জোট সরকার। দেশের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভিশন ও মিশনকে এগিয়ে যাওয়ার যে উদ্যোগ শুরু হয়েছে ত্রিপুরা প্রধানমন্ত্রীর প্রদর্শিত পথেই চলছে। কৃষক দেশের অর্থনীতির মূল মেরুদণ্ড। কৃষির উন্নয়ন ও রাজ্যকে খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার সর্বাত্মক প্রয়াস বর্তমান সরকার নিয়েছেন।
শনিবার সাক্রমের ব্রজেন্দ্রনগর বাজারে ধান ক্রয় করার অনুষ্ঠানে একথা বলেন খাদ্য পর্যটন ও পরিবহণমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের সহায়ক মূল্য দিতে সরকার বদ্ধপরিক বলে জানান মন্ত্রী শ্রীচৌধুরী।
সার্বিক উন্নয়ন বিজেপি সরকারের পাখির চোখ তা মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর তথ্যভিত্তিক ভাষণে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গ্রামীণ উন্নয়ন বিজেপি সরকারের সবথেকে অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে। মন্ত্রী শ্রীচৌধুরী দাবি করেন, উন্নয়নের জন্য অর্থের কোনও অভাব নেই। ডবল ইঞ্জিন সরকারের গতি আগামীদিন আরও বেগবান হবে।মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, কৃষকরা অন্নদাতা, কৃষকদের রক্তঝরা ফসল ভারতের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
মন্ত্রী শ্রীচৌধুরী কৃষকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা আছেন বলেই ত্রিপুরা শস্যশ্যামলা।মন্ত্রী বলেন,মোদি সরকার নিরঙ্কুশভাবে কৃষক বান্ধব সরকার। কৃষকদের অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট অর্থরাশি ঢুকছে। মন্ত্রী বলেন, রাজ্যে ৪৪৬ কোটি টাকা কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে দারুণভাবে আন্দোলিত করেছে। মন্ত্রী বলেন, রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে কৃষকদের ভাগ্য অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকতো। তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার কৃষকদের মিছিল মিটিংয়ে নামিয়ে দিতো, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলতো। কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্য দিয়ে ধান ক্রয় করা স্বপ্ন থেকে যেতো রাজ্যের লক্ষ লক্ষ কৃষকদের। নরেন্দ্র মোদি সরকার আছে বলে কৃষকদের মুখে চওড়া হাসি।
মন্ত্রী শ্রীচৌধুরী বলেন, বর্তমান ত্রিপুরা সরকার সহায়ক মূল্য দিয়ে ধান ক্রয় করছে বলে কৃষকরা উৎসাহিত এবং কৃষকরা উৎপাদনমুখী।কারণ বর্তমান সরকার তাদের পাশেই রয়েছে। মন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেন, কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্য দিয়ে ধান ক্রয় করা সরকারের এটা ধারাবাহিক উন্নয়নমুখী প্রয়াস।
এই সরকার কৃষকদের কাছে দায়বদ্ধতা সরকার। মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী এই এলাকা থেকে এই বছর কৃষকদের সহায়ক মূল্য দিয়ে ধান ক্রয় করার কাজ শুরু হলো। খাদ্য দপ্তরের সহযোগিতা কৃষি ও কৃষি কল্যাণ দপ্তরের ব্রজেন্দ্রনগর পিপিসি থেকে ত্রিপুরা রাজ্য খারিফ শস্য ধান ক্রয় করা শুরু হয় মন্ত্রী শ্রীচৌধুরীর হাত ধরে।
উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, জেলা শাসক দলের বিধায়করা। স্বাগত ভাষণ দেন ত্রিপুরা সরকারের খাদ্য দপ্তরের বিশেষ সচিব দেবপ্রিয় বর্ধন। অনুষ্ঠানে দক্ষিণ জেলা পরিষদের সভাধিপতি দীপক দত্ত সমাপ্তি ভাষণে বলেন, গত বছর সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করার ক্ষেত্রে দক্ষিণ জেলা প্রথম হয়েছিল। এবারও সেই ধারা বজায় থাকবে বলে জেলা সভাধিপতি আশা প্রকাশ করেন।অনুষ্ঠানে কৃষি দপ্তরের দক্ষিণ জেলার উপ অধিকর্তা সুমিত কুমার সাহা, সুপ্রতীম চাকমা সহ বিভিন্ন কৃষি আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন।