August 3, 2025

বিচিত্র কাণ্ড! টাকা খরচ করে চড় খেতে জাপানের রেস্তোরাঁয় খদ্দেরের ভিড়!!

 বিচিত্র কাণ্ড! টাকা খরচ করে চড় খেতে জাপানের রেস্তোরাঁয় খদ্দেরের ভিড়!!

বিচিত্র কাণ্ড আর কাকে বলে! লোকজন রেস্তোরাঁয় যান খাবার খেতে, আনন্দ করতে। সেখানে জাপানের আলোচ্য রেস্তোরাঁয় একদম উলটপুরান। খদ্দের সেখানে যাচ্ছেন ওয়েটারের হাতে চড় খেতে! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও অতি সম্প্রতি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এমনই এক ভিডিয়ো (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি দৈনিক সংবাদ) ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, রীতিমতো পকেটের টাকা খরচ করে খদ্দেররা ওই হোটেলে গিয়ে ওয়েটারদের হাতে চড়-থাপ্পড় খাচ্ছেন (সঙ্গের ছবি)। ভিডিয়োতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, রেস্তোরাঁর চেয়ারে বসে গাল এগিয়ে দিচ্ছেন অতিথিরা। ওয়েটার এসে সেই গালে বসাচ্ছেন একের পর এক চড়। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, বলা হয়েছে, ‘সাচিহোকো-ইয়া’ নামের ওই রেস্তোরাঁ রাজধানী টোকিওর নাগোয়া শহরে। সেখানে খাবারের মেন্যুতে জ্বলজ্বল করছে ‘নাগোয়া লেডিস স্ল্যাপ’ (অর্থাৎ মহিলাদের হাতের চড়) নামের বিশেষ একটি পদ। ওই পদের জন্য ৩০০ ইয়েন (ভারতীয় মুদ্রায় ১৭৩ টাকা) খরচ করলেই দেদার চড় খাওয়া যাবে। তবে পছন্দের কারও হাে হাতে চড় খেতে চাইলে খসাতে হবে অতিরিক্ত ৫০০ (ভারতীয় মুদ্রায় ২৮৮ টাকা) ইয়েন। শুধু জাপানি নারী-পুরুষ নন, বিদেশি পর্যটকদের কাছেও নাকি ওই রেস্তোরাঁয় চড় বেশ উপভোগ্য। ‘সেভ ইউর মানি’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিয়োতে বলা হয়েছে, নারী ওয়েটাররা যত জোরে চড় মারেন, রেস্তোরাঁর অতিথিরা ততই আনন্দ পান। তারা রাগ তো দেখানই না, বরং তাদের দেখে আরও তরতাজা মনে হচ্ছে। অনেকে তো আবার চড় মারা ওয়েটারকে ধন্যবাদও জানান ২০১২ সালে এই খাদ্য তালিকায় ‘চড় পরিষেবা’ চালু করেছিল সাচিহোকো ইয়া। সে সময় এটি তুমুল সাড়া ফেলেছিল। চড় খেতে রেস্তোরাঁ ভিড় জমাতে শুরু করেন বহু মানুষ। প্রথম দিকে মাত্র একজন নাই ওয়েটারই এ কাজে হাত লাগিয়েছিলেন। পরে জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে আরও একাধিক মহিলা কর্মীকে নিয়োগ করেন রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ তবে রেস্তোরাঁয় চড়ের ভিডিয়োগুলি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। শেষমেশ বাধ্য হয়ে চড়ের আয়ো বন্ধ করে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি এক্সে একটি পোস্টে তারা অনুে করেছে, চড় খাওয়ার লোভে কেউ যেন সেখানে আর না যায়। কারণ, এটি বন্ধ করা হয়েছে। আর নতুন করে যেসব ভিডিয়ো ছড়িয়েছে, তা পুরনো। ভবিষ্যতে আবার কখনও অর্থের বিনিময়ে চড় চালু হবে কি না, তা ওই পোস্টে জানানো হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *