দেশি-বিদেশিদের উপচে পড়া ভিড়,আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে জম্পুই!!
ফ্ল্যাক্স তাণ্ডব জাতীয় সড়কে বিপন্ন যাত্রী নিরাপত্তা!!
অনলাইন প্রতিনিধি :- জাতীয় সড়কের ট্রাফিক বোর্ডে ঢাউস ফ্ল্যাক্স পোস্টার। সড়ক নিরাপত্তা তছনছ। জাতীয় সড়কে ট্রাফিক নির্দেশিকার বোর্ডগুলির উপর শিল্পী ও মন্ত্রীদের বিশালাকৃতি ফ্ল্যাক্স সেঁটে দেওয়ায় তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আগরতলা-উদয়পুর জাতীয় সড়ক জুড়ে প্রমো ফেস্টের প্রচারে ব্যবহৃত এসব ফ্ল্যাক্স পথচলতি মানুষের চোষে কেবল দৃষ্টিদূষণ নয়। বরং সরাসরি সড়ক নিরাপত্তার প্রতি চরম উদাসীনতার প্রমাণ।কোনো মন্ত্রী নিশ্চয়ই এমন নির্দেশ দেননি। এমনটাই দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের। বরং যারা এই কাজ করেছেন, তাদের অতি উৎসাহে মন্ত্রীদেরই বদনাম হচ্ছে। সড়কের দুপাশে ট্রাফিক বোর্ডে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে কোথায় কত গতিতে গাড়ি চালাতে হবে, সতর্কতা কী, বাঁক কোথায় গাড়ি চালক ও যাত্রীদের জন্য এসব প্রাণরক্ষাকারী তথ্য। সেই জীবনরক্ষাকারী নির্দেশিকাই এখন ঢাকা পড়ে আছে ঢাউস ঢাউস সব ফ্ল্যাক্স পোস্টারের নিচে।
পরিস্থিতি এতটাই বিপজ্জনক যে চালকরা গতিসীমা, সতর্কতা কিছুই বুঝতে পারছেন না। পুলিশের স্পিডগান চেকপোস্টে চালকদের জরিমানা গুনতে হচ্ছে অকারণে। সবচেয়ে বড় কথা, বোর্ড দেখা না গেলে চালকরা হঠাৎ বিপজ্জনক অবস্থায় পড়তে পারেন। দুর্ঘটনার ঝুঁকি বহুগুণে বেড়ে গেছে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ট্রাফিক বিশেষজ্ঞরা। অনেক ফ্ল্যাক্সে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, পর্যটন মন্ত্রী সহ বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের ছবি থাকলেও জনসচেতনতা,নিরাপত্তা বা সতর্কতামূলক কোনো বার্তা নেই। শুধু বড় ট্রাফিক বোর্ড ঢেকে দেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে মানুষ নির্বোধের কাজ বলেই অভিহিত করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে পর্যটন বেড়েছে বলে সরকার দাবি করছে। কিন্তু নতুন পর্যটকরা যদি ট্রাফিক বোর্ডই দেখতে না পান তবে তারা রাস্তায় নিয়ম মেনে চলবেন কীভাবে? সরকার প্রচারে আগ্রহী এ কথা ঠিক। কিন্তু প্রচারের নামে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে আপোশ কেন? সাধারণ মানুষের প্রশ্ন এ দায় নেবে কে?