ফুটপাথের বাজার শেডে বাড়ছে জনদুর্ভোগ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-লেক চৌমুহনী বাজারের উচ্ছেদ অভিযান এখন নতুন করেই প্রশ্নচিহ্নের জন্ম দিতে শুরু করেছে। যাদেরকে উচ্ছেদ করা হয়েছে, সেই তারাই আবার বাজারকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে এদিক-ওদিক। এমনকী লেক চৌমুহনী বাজার টু অভয়নগরের সংযোগকারী সেতুটির দুই পাশে থাকা ফুটপাথগুলিও এখন দখলে নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। সঙ্গত কারণেই ক্রেতা ভিড়ে সেতু পারাপার করা যেনো এখন যথেষ্টই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
এ যেনো এক বাজার শেড।
অভিনয়গর এলাকার নিত্য যাতায়াতকারীদের অনেকেই বলছেন, সেতুটি ব্যবহার করে প্রায় সময়ই তারা বাজার হাঁট, এমনকী অফিস আদালতেও যাতায়াত করতেন।কিন্তু গত মাস কয়েক যাবৎ এই সেতুটি দিয়ে বিশেষ করে সকাল সাড়ে নটা থেকে এগারোটা, বিকাল পাঁচটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত যাতায়াত করাই অযোগ্য হয়ে পড়ছে।সেতুটির ফুটপাথ দখল
করে ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য সামগ্রী নিয়ে বসে পড়ায়, খদ্দেররাও সেই সেতুর উপরই সটান দাঁড়িয়ে পড়ছে বাইক, স্কুটার, গাড়ি থামিয়ে। এই অবস্থায় যানজট লেগে পড়াই স্বাভাবিক।বলছেন স্থানীয় জনগণ।ট্রাফিক দপ্তরের উপর আঙুল উঁচিয়ে তাদের আরও অভিযোগ, তীব্র যানজটেও ন্যূনতম একজন ট্রাফিক কর্মীকে খুঁজে পাওয়া যায় না। অনেক সময় দেখা মিললেও সমস্যা নিরসনে -কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়ে পড়েন তারা।
শহর আগরতলার ক্ষেত্রে এই সমস্যা অবশ্য এখন অনেকটাই স্বাভাবিকতার রূপ নিচ্ছে। এক্ষেত্রে যত্রতত্র পার্কিং, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি, রাস্তার বেহাল দশা এবং পরিশেষে অনিয়ন্ত্রিত ট্রাফিক ব্যবস্থাকেও দায়ি করছেন অনেকেই। রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে এক্ষেত্রে। অভিযোগ রয়েছে, বটতলা বাজার এলাকা নিয়েও। যত্রতত্র পার্কিং, সেতু ব্যবহার করে দুই পাশে বসে পড়া দোকানীদের ভিড় দেখে এখন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন পথচলতি সাধারণ জনগণ। পুলিশ এক্ষেত্রে দিন কয়েক বাদে বাদে নামকাওয়াস্তে অভিযান চালালেও পর মুহূর্তে একপ্রকার বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়েই যে যার মতো করে ফের বসছে পসরা সাজিয়ে।
প্রায় একই অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে শহর দক্ষিণাঞ্চলের সিদ্ধিআশ্রম পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকা। এমনিতেই মূল সড়কটিতে ডিভাইডার বসানোয় প্রয়োজনের তুলনায় সরু হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। তারওপর প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিদিনই জাতি-উপজাতি অংশের জনগণ তাদের উৎপাদিত নানা সামগ্রী নিয়ে বসে পড়ছে ওই এলাকায়। রাস্তার ধারে ছোট পরিসরের বাজার দেখে বহু মানুষজন তাদের যানবাহন দাঁড় করিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন কেনাকাটায়। যে কারণে দিনের বেশিরভাগ সময় ওই এলাকা দিয়ে রাস্তা পারাপার করতে স্বাভাবিকের তুলনায় চার থেকে পাঁচগুণ সময় লেগে পড়ছে। এমন জরুরী পরিষেবা প্রদানকারী যানবাহনকেও ভীষণভাবেই বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে নানা সময়। একই অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে ধলেশ্বর এক নং রোড এলাকা ধরে ইন্দ্রনগর আইটিআই যাবার পথে কাটাখাল এলাকা, পাওয়ার হাউস চৌমুহনী, রামনগর এলাকাগুলিও। ট্রাফিক কর্মীদের অনুপস্থিতির সুযোগ বুঝে প্রায় প্রতিদিনই এই এলাকাগুলিতে যানজটের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষজন। অনেক ক্ষেত্রে কভার ড্রেনের নাম করে কচ্ছপগতিতে চলতে থাকা কাজকেও আবার দায়ি করছেন অনেকে। অভিযোগ রয়েছে আশ্রম চৌমুহনীস্থিত এএমসির জোনাল অফিসটির সামনে বিশেষ করে কভার ড্রেন নির্মাণের সময় যেসব দোকানীদের উচ্ছেদ করা হয়েছিলো তারাও এখন নতুন করে ফুটপাথ দখল করে উদ্যোগ নিয়েছে ব্যবসায়। স্থানীয় জনগণ অবশ্য আগে থেকেই তীক্ষ্ণ নজরের আহ্বান জানাচ্ছে প্রশাসনের উদ্দেশে।