আক্রান্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল রেখা গুপ্তাকে!!
প্রস্তুতি তুঙ্গে চিনে,ঘুচবে বন্ধ্যাত্ব!রোবটের পেটেই জন্ম নেবে মানবশিশু?

দৈনিক সংবাদ:-বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় যুঝছে গোটা বিশ্ব।আর সেই আবহে নজির গড়তে চলেছে চিন।সব ঠিক থাকলে, সেখানে এবার যন্ত্রমানব তথা রোবট সন্তানের জন্ম দেবে ! শুধু সন্তান প্রসবই নয়, সন্তানধারণ থেকে গর্ভাবস্থা, মাতৃত্বের প্রত্যেকটি ধাপই রোবট অতিক্রম করবে বলে দাবি করেছেন চিনা গবেষকরা। গর্ভ যন্ত্রণা রোবট আদৌ সহ্য করবে কিনা সেটা গবেষণায় চিনা বিজ্ঞানীরা স্পষ্ট করে না বললেও তাদের দাবি, ফুটফুটে মানব সন্তান প্রসবও করানো হবে রোবটকে দিয়েই।
ভ্রূণধারণ থেকে শিশুসন্তান প্রসব, রোবটকে দিয়ে মাতৃত্বের স্বাদ বোঝাতে রীতিমতো বিজ্ঞাপনও দিচ্ছে চিনের একাধিক আইভিএফ সংস্থা। চিনের বিজ্ঞানী ঝাং শিফেংয়ের সংস্থা কাইওয়া টেকনোলজি গর্ভধারণের এই প্রযুক্তি গড়ে তুলছে। তিনি দাবি করছছেন, ‘ইমপ্লান্টেশন থেকে শুরু করে মাতৃত্বের প্রত্যেকটি ধাপ অতিক্রম করবে রোবট। রোবটের কৃত্রিম গর্ভেই বেড়ে উঠবে মানব সন্তান।টিউবের মাধ্যমে ভ্রূণের শরীরে পৌঁছে যাবে পুষ্টি।’
কিফেং এখন সিঙ্গাপুরের নানইয়াং টেকনোলজিকাল ইউনিভার্সিটির গবেষক। যদি এই গবেষণা সফল হয়, তাহলে এই প্রযুক্তির দ্বারা বিশ্বজুড়ে বন্ধ্যাত্বে ভোগা দম্পতি কিংবা যারা স্বাভাবিকভাবে নিজের শরীরে গর্ভধারণ করতে চান না – তাদের জন্য নতুন আশার দিগন্ত খুলে দিতে পারবে বলে দাবি তার। ডঃ কিফেং দাবি করেছেন, প্রযুক্তিটি ইতিমধ্যেই ‘পরিণত পর্যায়ে’ পৌঁছে গিয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘এখন এটি রোবটের পেটে প্রতিস্থাপন করতে হবে, যাতে বাস্তবে মানুষ এবং রোবটের সম্পর্ক স্থাপন সম্ভব হয়। এর মাধ্যমে ভ্রূণ ভেতরে বৃদ্ধি পাবে।’
২০২৬ সালের মধ্যে প্রথম প্রোটোটাইপ বাজারে আনার পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থার তরফে।
এই প্রক্রিয়াটির সম্ভাব্য খরচ ধার্য করা হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ইয়ুয়ান (প্রায় ১৪,০০০ মার্কিন ডলার)। তবে এই প্রযুক্তি ঘিরে শুরু হয়েছে নানা নৈতিক বিতর্কও। প্রশ্ন উঠছে, ভ্রূণ ও মায়ের মধ্যে চিরাচরিত স্নেহের বন্ধনের ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে? ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর উৎস কোথা থেকে আসবে? শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যেই বা এর প্রভাব কী হবে?
তবুও, এটি বিজ্ঞানের ইতিহাসে বিপ্লব ঘটাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫ শতাংশ দম্পতি বন্ধ্যাত্ব সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য এটি নতুন পথ খুলতে পারে। এই ধারণাটি নতুন নয়।এর আগেও ২০১৭ সালে বিজ্ঞানীরা একটি পরীক্ষায় একটি প্রিম্যাচিওর ভেড়াকে কৃত্রিম অ্যামনিওটিক তরল ভরা ‘বায়োব্যাগে’ বড় করে তুলেছিলেন। বর্তমানে ড. কিফেং-এর দল গুয়াংডং প্রদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নীতি ও আইনগত কাঠামো নিয়ে আলোচনায় রয়েছে, যাতে প্রযুক্তি শুরু হওয়ার আগে নৈতিক ও আইনি প্রশ্নগুলোর সমাধান করা যায়।