December 11, 2025

প্রমোশনে ধাক্কা, ২২ টিপিএস অফিসারের পদোন্নতি বাতিল!!

 প্রমোশনে ধাক্কা, ২২ টিপিএস অফিসারের পদোন্নতি বাতিল!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা হাইকোর্টের রায়ে
পদাবনতি হচ্ছে ২২ জন ডিএসপির। এরা ২০২৩ সালের জানুয়ারী মাসে টিপিএস হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ডিএসপি হয়েছিলেন। এদের পুনরায় ইন্সপেক্টর পদে ফিরে যেতে হবে। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছেন ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এমএস রামাচন্দ্র রাও এবং বিচারপতি সব্যসাচী দত্ত পুরকায়স্থের ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের রায়ে ডিএসপি থেকে আবারও ইন্সপেক্টর পদে ফিরে যেতে হচ্ছে ২২ জন অফিসারকে। তাদের মধ্যে আবার অনেকে অবসরেও চলে গেছেন। আবেদনকারী যতীন্দ্র দাস সহ ১৭ জন তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের ইনস্পেক্টর টিপিএস হিসেবে পদোন্নতি না পেয়ে, ত্রিপুরা হাইকোটের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছিলেন। তাদের দাবি ছিল, ২০২৩ সালে হাইকোটের সিঙ্গল বেঞ্চ আবেদনকারীদের বঞ্চিত রেখে ২২ জন সাধারণ শ্রেণীভুক্ত ইন্সপেক্টরকে পদোন্নতি দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। ২০২১ সালে রাজ্য সরকার অ্যাড হক পদোন্নতি দিতে শুরু করে। তখন ২২ জন ইন্সপেক্টর হাইকোর্টে মামলা করে জানান, তাদের বয়স ৫৫ বছর পেরিয়ে গেছে। দীর্ঘ বছর পদোন্নতি বন্ধ থাকায় তারা বঞ্চিত হয়েছেন। টিপিএস হিসেবে পদোন্নতি পেতে গেলে বয়স ৫৫ বছরের নিচে থাকতে হয়। ত্রিপুরা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে ২২ জন ইন্সপেক্টরকে টিপিএস গ্রেড টু হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়। ডিএসপি হয়ে যান সাধারণ শ্রেণীভুক্ত ২২ জন। এর মধ্যে আছেন সুব্রত চক্রবর্তী, পার্থ সারথি পাল, মানিক দেবনাথ, ইলা দেব, সিদ্ধার্থ শংকর কর, অনুপ কুমার দাস প্রমুখ। এই পদোন্নতি চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন যতীন্দ্র দাস, বাবুল দাস, পরিতোষ দাস সহ ১৭ জন। তাদের দাবি যে ২২ টি টিপিএস গ্রেড টু পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে এগুলির জন্য তারা যোগ্য ছিলেন। কিন্তু এই পদে বয়স পেরিয়ে যাওয়া ২২ জনকে পদোন্নতি দেওয়ায় তারা বঞ্চিত হয়েছেন। ত্রিপুরা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ তাদের পার্টিও করেনি। রাজ্য সরকারের পক্ষে মামলায় সওয়াল করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল শক্তিময় চক্রবর্তী, অতিরিক্ত জিএ দীপঙ্কর শর্মা সহ অন্যরা।
এদিকে, আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী শংকর লোধ জানান, ত্রিপুরা হাইকোর্টে আমাদের বক্তব্য শোনার পর সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বাতিল করে দিয়েছে। আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে ২২ জনের পদোন্নতি বাতিল করে তাদের আবারও আগের পদ অর্থাৎ ইনস্পেক্টর পদে ফিরিয়ে নিতে বলেছে হাইকোর্ট। এদিকে, সুব্রত চক্রবর্তী, সিদ্ধার্থ শংকর কর সহ কয়েকজন ইতিমধ্যেই অবসরে চলে গেছেন। যদিও তাদের টিপিএস গ্রেড টু হিসেবে দেওয়া আর্থিক সুবিধার বিষয়ে হাইকোর্ট কোনো নির্দেশ দেয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *