August 2, 2025

প্রবাসে পুজো, আয়ারল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের এই দুর্গাপূজার থিম “গ্রাম বাংলা”!!

 প্রবাসে পুজো, আয়ারল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের এই দুর্গাপূজার থিম “গ্রাম বাংলা”!!

বাঙালি বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন একটা দুর্গাপুজো না করতে পারলে যেন বাঙালিয়ানা বজায় থাকে না । আয়ারল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের ডোনেগাল কাউন্টিতে অবস্থিত এই শহরটির নাম লেটারকেনি। প্রায় কুড়ি হাজার মানুষের বসবাস এখানে।আর এই অঞ্চলে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা বাঙালি সহ অন্যান্য ভাষাভাষী পরিবারের সংখ্যাও অনেক।বহুদিনের ইচ্ছে বাস্তবের রূপ পেয়েছে গত বছর।দশ- বারোটি পরিবারকে একত্রিত করে মায়ের আরাধনা করতে পেরেছেন আয়ারল্যান্ডের অভিজিৎ পালিত সহ অন্য উদ্যোক্তারা।

এই পুজো কমিটির সদস্য সংখ্যা বর্তমানে পঞ্চাশের উপর। আর এই পুজোতে যে শুধু বাংলার মানুষরা অংশগ্রহণ করেছেন তা নয়, এই পুজোয় শামিল ছিলেন কেরালা, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, তামিলনাড়ুর, দিল্লি, হরিয়ানা, আসাম, ত্রিপুরার মত রাজ্য থেকে আসা প্রবাস ভারতীয়রা।আর দ্বিতীয় বছর অর্থাৎ এবারের ২০২৩ এর দুর্গা পূজোর কাজও অনেকটা এগিয়ে ফেলেছেন উদ্যোক্তারা।অনেকটা আক্ষেপের সুরে অভিজিৎবাবু জানালেন, “ইচ্ছা থাকলেও সময়ে সংযোগের অভাবে আমরা কুমারটুলি থেকে দুর্গা প্রতিমা এনে পুজোটা করতে পারলাম না।এবারের পুজোও তাই গতবারের মতো দুর্গার পূর্ণাবয়ব কাট-আউট ছবিতে পুজো করতে হচ্ছে।গত বছর আয়ারল্যান্ডের এই দুর্গাপূজা দেখতে স্থানীয় আইরিস অধিবাসীরাও উপস্থিত হয়েছিলেন। ঠাকুর দেখতে এসেছিলেন লোকাল কাউন্সিলার, এমনকি পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। আর প্রথম বছরের পুজোতেই অভিজিৎ বাবুরা জিতে নিয়েছিলেন আইবিএ শারদ সম্মান। এখানে অবশ্য পঞ্জিকা মতে চার দিন পুজো করা সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে অভিজিৎ বাবু বলেন, “এ বছর আমরা ২১ এবং ২২ অক্টোবর এই দুর্গাপুজো করতে চলেছি। যেহেতু আমাদের সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কর্মক্ষেত্রে থাকতে হয়। আর তাই আমাদের পুজো শনি ও রবিবার এই দুদিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই দুদিন নিষ্ঠা সহকারে পুজোর রীতি-নীতি মেনে, প্রসাদ ভোগ নিবেদন করে, প্রতিমা নিরঞ্জনের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।আয়ারল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের এই দুর্গাপুজোর এবছরের থিম গ্রাম বাংলা। যেখানে শুধু মায়ের আরাধনাই নয় সঙ্গে থাকবে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের বিভিন্ন সংস্কৃতির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।এই পুজো মণ্ডপে প্রবেশ সকলের জন্য অবাধ। এমনকি, যে কোন রকম কালচারাল ইভেন্টে দর্শনার্থীরাও অংশগ্রহণ করতে পারেন। সম্পূর্ণ নিজেদের খরচায় এই পুজো অনুষ্ঠিত হলেও অন্যান্য স্থানীয় বাসিন্দারাও আর্থিকভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এবছর না হলেও, আগামী দিনে কুমারটুলির কাঠামোর দুর্গা ঠাকুর এনে পুজো করার ইচ্ছেও পূরণ হবে বলে জানালেন অভিজিৎবাবুরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *